সংক্ষিপ্ত

সোমবারের পর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের কোথাও আর বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। সোমবার থেকেই বৃষ্টি কমতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

সকাল থেকে আলো ঝলমলে রোদ থাকলেও দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও কলকাতা সংলগ্ন কিছু জেলায় বেলা দুটের পর থেকেই মুখ ভার হতে থাকে আকাশের। আচমকা ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে কাকভেজা বৃষ্টিতে স্নান করে বেশ কিছু জেলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়ে ছিল উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্তও রয়েছে। এরফলেই উপকূল ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সোমবারের পর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের কোথাও আর বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। সোমবার থেকেই বৃষ্টি কমতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সবক’টি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে মঙ্গলবার থেকে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গে আগামি ২-৩ দিন তাপমাত্রা কিছুটা নিম্নমুখী থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ২-৩ দিন পর থেকে তাপমাত্রা আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বর্তমানে একটি মৌসুমি অক্ষরেখা গিয়েছে। আপাতত বাঁকুড়ার উপরে তার অবস্থান। এই অক্ষরেখার প্রভাবে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনও থেকে যাচ্ছে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায়। তবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার শক্তিও বাড়বে। ওই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে স্থলভাগের দিকে এগোতে পারে। তবে নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম দেবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

তবে পুজোর মুখে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বাংলার উপকূলে। আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্তের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। পুজোর আগে আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যার দিকে নজর রেখেছে হাওয়া অফিস।

অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায়। সোমবারের পর উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গে আবার ফিরতে চলেছে মনোরম আবহাওয়া। সোমবার মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।