সংক্ষিপ্ত

আজও রাজ্যের একাধিক জেলায় বিক্ষপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েকদিন রাজ্যের সর্বত্রই বৃষ্টি বাড়বে বলে জানাচ্ছে আলিপুর।

লক্ষ্মীবারে সামান্য উন্নতি আবহাওয়ায়। ভোর থেকেই মেঘলা আকাশ হলেও হচ্ছে না বৃষ্টি। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলাবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজও রাজ্যের একাধিক জেলায় বিক্ষপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েকদিন রাজ্যের সর্বত্রই বৃষ্টি বাড়বে বলে জানাচ্ছে আলিপুর। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অধিকাংশ জেলাতেই ছিল কমলা সতর্কতা। বৃহস্পতিবারের জন্যেও বেশ কয়েকটি জেলায় লাল সতর্কতা অব্যাহত থাকছে। দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বুধবার অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে, বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির দাপট বজায় থাকতে পারে। তবে, বৃহস্পতিবার থেকে গাঙ্গেয় বঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তর ও দক্ষিণ পরগণা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

টানা বৃষ্টির জেরে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই ফ্যান বন্ধ করতে হচ্ছে শহরবাসীকে। একটা ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমেছে বেশ অনেকখানি। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমানও। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান, ৯৬ শতাংশ। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর,বর্তমানে একটি মৌসুমি অক্ষরেখা আপাতত বাঁকুড়ার উপরে অবস্থান করছে। এই অক্ষরেখার প্রভাবে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনও থেকে যাচ্ছে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায়। তবে সপ্তাহের শেষে ফের ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছে আলিপুর। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার শক্তিও বাড়বে। ওই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে স্থলভাগের দিকে এগোতে পারে। তবে নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম দেবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া একেবারেই অনুকূল নয়। প্রত্যেকটি জেলাতেই লাল ও কমলা সতর্কতা অব্যাহত থাকছে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। অতি ভারী বৃষ্টিতে নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তার পাশাপাশি বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।