সংক্ষিপ্ত

আগের থেকেই অনেকটাই শক্তিক্ষয় হয়েছে ঘূর্ণিঝড় হামুনের। হাওয়া অফিস বলছে বাংলায় কোনও প্রভাবই ফেলবে না হামুন।

দ্বাদশীর সকাল থেকেই হাওয়াবদল। নিম্নচাপের প্রভাব নয় বরং হালকা শীতের আমেজ শহরজুড়ে। এদিন ভোর থেকে আকাশের মুখভার থাকলেও আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, চিন্তা নেই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে। আগের থেকেই অনেকটাই শক্তিক্ষয় হয়েছে ঘূর্ণিঝড় হামুনের। হাওয়া অফিস বলছে বাংলায় কোনও প্রভাবই ফেলবে না হামুন। বরং লক্ষ্মীপুজোর মধ্যেই হালকা শীতের আমেজ থাকবে শহড়জুড়ে। বুধবার সকালেই বঙ্গোপসাগরের শক্তিক্ষয় হতে শুরু করেছে হামুনের। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় থেকে সেটা নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পরে ছয়-সাত ঘন্টায় আরও শক্তি কমে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মোট কথা এক্ষুণি বাংলায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

দ্বাদশীর ভোর থেকেই আংশিক মেঘলা শহরের আকাশ। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও কিছুটা মেঘলা থাকবে আকাশ। এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই এক ধাক্কায় কমেছে শহরের তাপমাত্রাও। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান ৯৩ শতাংশ।

উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় বৃষ্টি হতে পারে খুব সামান্য। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার দরুন দুই বঙ্গেই রাতের তাপমাত্রা যথেষ্ট কমে যাচ্ছে। গতকাল কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান, ৯০ শতাংশ। আলিপুর জানাচ্ছে লক্ষ্মী পুজোর দিন থেকেই হালকা শীতের আমেজ পাবেন বঙ্গবাসী। কালীপুজোর মধ্যে ভালোই শীত থাকবে।