সংক্ষিপ্ত

ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল জমি। কারণ, জমি নিয়ে বরাবরই সংবেদনশীল থেকেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার।

ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল জমি। কারণ, জমি নিয়ে বরাবরই সংবেদনশীল থেকেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার।

সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, রাজারহাট-নিউটাউন (Rajarhat-Newrown) এলাকায় কোন সংস্থাকে কত জমি দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেইসঙ্গে, সেই জমিগুলির যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রশাসনিক বৈঠকেই কড়া বার্তা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। গত মঙ্গলবার, রাজ্যভিত্তিক যে প্রশাসনিক বৈঠক হয় সেখানেই উঠে আসে এই প্রসঙ্গ। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে যে, সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজারহাট-নিউটাউন এলাকার জমি বণ্টন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিশেষত দেবাশিস সেন হিডকোর (Hidco) চেয়ারম্যান থাকাকালীন কাকে কীভাবে জমি দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন তিনি।

সেই বন্টিত জমির সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি না, তাও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। যিনি বর্তমানে অর্থ দফতরের উপদেষ্টা। একটি সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি যেন নবান্নের কার্যালয়ে বেশি সময় না থেকে হিডকোয় বেশি সময় দেন। পুরো বিষয় অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন হিডকোর অন্যতম শীর্ষপদে ছিলেন প্রাক্তন আইএএস দেবাশিস সেন। অবসরের পরও বেশ কয়েকবছর হিডকোর দায়িত্বে তাঁকে রেখে দিয়েছিল নবান্ন। সেই সময়েই যে জমি বণ্টন হয়েছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব চায় এবার রাজ্য সরকার (West Bengal Governement)। যদিও সেই পদে আর এখন নেই দেবাশিস সেন।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবস্থান, প্রশাসনের অন্দরের জল্পনাকে আরও জোরদার করে তুলেছে। কৌতূহল তৈরি হয়েছে যে, হটাৎ কেন এমন নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণটা ঠিক কি?

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।