- Home
- West Bengal
- Kolkata
- Mamata DA: বকেয়া ডিএ দিতে গিয়ে দেউলিয়া হতে চলেছে নবান্ন! জানেন কীভাবে টাকার জোগাড় করছে রাজ্য?
Mamata DA: বকেয়া ডিএ দিতে গিয়ে দেউলিয়া হতে চলেছে নবান্ন! জানেন কীভাবে টাকার জোগাড় করছে রাজ্য?
একসময় কলকাতাতেই বিড়ালের বিয়ে দিতে বাজার থেকে মোটা সুদে টাকা ধার করতেন 'বাবু'রা। রাজ্য সরকারের অবস্থা খানিকটা সেরকমই। ঢেঁকি গেলার দশা নবান্নের। ঘাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে সুপ্রিম কোর্টের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ! কীভাবে টাকা জোগাড় করছে রাজ্য?

রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কার্যত সুপ্রিম চাপের কাছে নতিস্বীকার করেই এই টাকা দেওয়া হবে।
এই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে জুন ২৭-এর মধ্যে। তাহলে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র প্রথম কিস্তি কবে দেবে নবান্ন?
তবে এরই মধ্যে সূত্রের খবর রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে নাভিশ্বাস উঠছে নবান্নের।
জানেন কি, কিভাবে টাকার জোগাড় করতে চলেছে রাজ্য? সুপ্রিম কোর্টে সরকারি কর্মচারীদের মোট বকেয়া ডিএ বাবদ যে টাকা দিতে হবে বলে রাজ্য জানিয়েছে, সেই হিসেবে ২৫ শতাংশের জন্য লাগবে প্রায় ১০ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।
৩০ জুনের মধ্যে এই টাকা দিতেই হবে রাজ্যকে। সূত্রের দাবি, এই টাকার একাংশ জোগাড়ের জন্য রাজ্য সরকার খোলা বাজার থেকে ঋণ সংগ্রহের প্রস্তুতি শুরু করেছে।
অর্থ দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে এ ছাড়া রাজ্য সরকারের কাছে বিকল্প পথ নেই।
সূত্রের দাবি, আপাতত ঋণপত্র ছেড়ে খোলা বাজার থেকে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা তোলার প্রস্তাব বিবেচনা করছে রাজ্য। এই ঋণের টাকা খরচ কী ভাবে করা যাবে, আইনে তার নির্দিষ্ট কোনও বিধি নেই।
প্রয়োজন মতো সরকার এই টাকা মূলধনী বিনিয়োগে বা কর্মচারীদের বেতন মেটাতে খরচ করতে পারে। চলতি আর্থিক বছরে রাজ্য বাজেটে খোলা বাজার থেকে ৮১ হাজার ৯৭২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ঋণ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
প্রয়োজন মতো সরকার এই টাকা মূলধনী বিনিয়োগে বা কর্মচারীদের বেতন মেটাতে খরচ করতে পারে। চলতি আর্থিক বছরে রাজ্য বাজেটে খোলা বাজার থেকে ৮১ হাজার ৯৭২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ঋণ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
গত আর্থিক বছরে রাজ্য সরকার বাজার থেকে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা ঋণ সংগ্রহ করেছিল। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ৬৯ হাজার ৯০৮ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা খোলা বাজার থেকে ঋণ সংগ্রহ করেছিল রাজ্য।
ডিএ মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিল, সরকারি কর্মচারীদের মোট বকেয়া ডিএ–র পরিমাণ ১১ হাজার ৮৯০ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা।
এ ছাড়া পেনশন প্রাপকদের জন্য মোট বকেয়া ১১ হাজার ৬১১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও শিক্ষক, পুরসভা, পঞ্চায়েত–সহ স্বশাসিত সংস্থা ও রাজ্য সরকার পরিচালিত সংস্থার কর্মীদের পাওনা ১৮ হাজার ৩৬৯ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।
সব মিলিয়ে অঙ্কটা ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ মেনে এর ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা ৩০ জুনের মধ্যে মেটাতেই হবে।
সূত্রের দাবি, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যাঁরা এখনও কর্মরত, বকেয়া ডিএ–র ২৫ শতাংশ অর্থ তাঁদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে (জিপিএফ) জমা দেওয়া প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, ওই বাড়তি টাকা সে ক্ষেত্রে কর্মচারীদের হাতে দিতে হবে না, সরকারের ঘরেই গচ্ছিত থাকবে।
আর যাঁরা অবসর নিয়েছেন, সেই সরকারি কর্মচারীদের নির্দিষ্ট পেনশন অ্যাকাউন্টে বকেয়া টাকা দিতে হবে। এই নীতি কার্যকর হলে এই মুহূর্তে সরকারের আর্থিক বোঝা কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন অর্থ দপ্তরের কর্তারা।

