সংক্ষিপ্ত

ভুলে ভরা প্রশ্নপত্র। পরীক্ষায় বাংলা প্রশ্ন দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যায় দমদম সেন্ট স্টিফেন্স স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ারা। সেই প্রশ্নের প্রায় সবকটি শব্দের বানানই ভুল। শুধু তাই নয়, শব্দগুলি এমনভাবে লেখা রয়েছে, তাতে যেন চেনা শব্দও কার্যত অচেনা ঠেকছে।

ভুলে ভরা প্রশ্নপত্র (Question Paper)। পরীক্ষায় বাংলা প্রশ্ন দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যায় দমদম (Dumdum) সেন্ট স্টিফেন্স স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির (Class VI) পড়ুয়ারা। সেই প্রশ্নের প্রায় সবকটি শব্দের বানানই ভুল। শুধু তাই নয়, শব্দগুলি এমনভাবে লেখা রয়েছে, তাতে যেন চেনা শব্দও কার্যত অচেনা ঠেকছে।

কোনও কোনও শব্দের অর্থও বোঝা যাচ্ছে না। এমন প্রশ্নপত্রে কীভাবে খুদে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেবে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যদি এই হাল হয়, তাহলে ছাত্রছাত্রীরা শিখবে কী?

যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ঐ প্রশ্নটি পড়ুয়াদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশ্নপত্রটি বৃহস্পতিবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে।

ঐ স্কুলের কয়েকজন অভিভাবক জানিয়েছেন, বাংলার ওই প্রশ্নপত্রে মোট ২০ নম্বর ছিল। প্রশ্নপত্রে মোট তিনটি প্রশ্ন ছিল। তবে, প্রথম প্রশ্ন থেকে শেষ প্রশ্ন অবধি পুরোটাই ছিল ভুলে ভরা। যেমন, ‘শকুন্তলা’ বানান লেখা হয়েছে ‘শকুন্তলা’। প্রশ্নপত্রের প্রতিটি যুক্তাক্ষর এমনভাবে ভেঙে লেখা হয়েছে যে, সেই প্রশ্ন পড়ে অনেক পরীক্ষার্থীই তার অর্থই বুঝে উঠতে পারেনি।

কিন্তু কেমন এমন হাল? বাংলার স্কুলে বাংলা বানানের এই অবস্থা? যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে স্কুলের সচিব সুকল্যাণ হালদার জানান, “যখনই নজরে আসে যে প্রশ্নপত্রে বানান ভুল আছে, সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার হলেই তা শুধরে দেওয়া হয়। পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হয়নি। যে ডিটিপি অপারেটর প্রশ্ন টাইপ করেছেন, সেখানেই হয়ত কোনও ভুল হয়েছিল। তবে কেন এইরকম ভুল হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

তবে বাংলার প্রশ্নে এইরকম ভুল বানান দেখে অনেকেই রীতিমতো তাজ্জব।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।