সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল নেতৃত্বের মত নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে হয়নি তাদের। এর আগেও নির্বাচন কমিশনের অনেক সিদ্ধান্ত বেরিয়েছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনের অনেক সিদ্ধান্ত খারিজ করেছে।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে জবর ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তারাও ছেড়ে কথা না বলার রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত ও সঠিক আইনী পথে গিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জবাব দেওয়া হবে। তবে এখানে উঠছে একটা প্রশ্ন। আচমকা এতবড় সিদ্ধান্ত কেন নিল নির্বাচন কমিশন। এই উত্তরের প্রেক্ষিতে অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি চিঠিকে দায়ী করছেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় দলের মর্যাদা খারিজের আবেদন জানিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দেন শুভেন্দু অধিকারী। বিশেষ করে ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং মণিপুরের ভোটে তৃণমূলের ধাক্কার পরেই এই চিঠি দেন তিনি। আর এরপরেই কমিশনের এহেন সিদ্ধান্ত। আর তা সামনে আসার পরেই কড়া ভাষায় কমিশনের সমালোচনা করেছেন সৌগত রায়। এই সাংসদ জানান, আইনগত ভাবেই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের মোকাবিলা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।

তবে এই বিষয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ বঙ্গ বিজেপির। পদক্ষেপ নিতেই নির্বাচন কমিশনারকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুধু তাই নয়, নামের সামনে থেকে কবে সর্বভারতীয় শব্দবন্ধ সরাবে তৃণমূল? তা নিয়েও কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এই ইস্যুতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে সৌগত রায়ের কথায় ইঙ্গিত মিলছে আইনী লড়াইয়ে।

সৌগত রায় বলেন তৃণমূল অনেক কঠিন সময় অতীতে পেরিয়ে এসেছে। এই পরিস্থিতিও কেটে যাবে। তবে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। এই সিদ্ধান্তে খুব একটা কিছু পরিবর্তন ঘটবে না বলেও আশাবাদী সৌগত রায়। তবে এই বিষয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশনের এহেন সিদ্ধান্তের পরেই নেতৃত্ব স্তরে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে মত প্রকাশ করা হয়েছে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার।

তৃণমূল নেতৃত্বের মত নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে হয়নি তাদের। এর আগেও নির্বাচন কমিশনের অনেক সিদ্ধান্ত বেরিয়েছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনের অনেক সিদ্ধান্ত খারিজ করেছে। ফলে আইনে যেভাবে বলা রয়েছে সেভাবেই এগোবে তৃণমূল বলে সূত্রের খবর।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দল থেকে এখন শুধু রাজ্য স্তরের দল বা আঞ্চলিক দল হয়ে গিয়েছে। এর মানে এখন যদি তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তবে তার প্রতীক স্থির থাকবে না।