সংক্ষিপ্ত

পুলিশ জানিয়েছে মৃত মহিলার বয়স ৪৪-৪৫। আগুনে মহিলার দেহের প্রায় ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই মহিলা অভিযোগ জানান।

 

রাস্তায় দাঁড়িয়ে গায়ে আগুন দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে জ্বলন্ত অবস্থাতেই ঢুকে পড়ল এক মহিলা। এই ঘটনা খাস কলকাতায়। যদিও মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু প্রাণে বাঁচানো যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই মহিলা এইভাবে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। যদিও ঘটনা তদন্ত চলছে। আত্মহত্যা না খুন তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সোমবার রাত আটটা নাগাদ কলকাতার হরিদেবপুরে ব্যানার্জি পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে এই সময়ই তাঁদের কাছে অভিযোগ আসে। ১০০ ডায়াল করে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান হয়। ঘটনাস্থালে গিয়ে পুলিশ মহিলাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। দ্রুত বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু মহিলাকে বাঁচানো যায়নি। তবে মৃতার জবানবন্দির মাধ্যমেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে মৃত মহিলার বয়স ৪৪-৪৫। আগুনে মহিলার দেহের প্রায় ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই মহিলা অভিযোগ জানান। মহিলা জানিয়েছেন সুবীর বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি মহিলা ও তাঁর একান্ত মুহূর্তের ছবি তুলেছিলেন। পরবর্তীকালে সেই ছবি নিয়ে তাঁকে একাধিকবার হুমকি দিয়েছে। ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন মহিলা। মহিলার আপত্তিকর কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে সুবীর। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই মহিলা সুবীর বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সুবীরের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন। তারপর জ্বলন্ত অবস্থাতেই সুবীরের বাড়িতে ঝুকে পড়েন। পুলিশ সূত্রের খবর সুবীরের সঙ্গে মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে মহিলা ভবানীপুরের বাসিন্দা। ২০ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলাও দায়ের হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত সুবীর নিখোঁজ।

কলকাতায় এজাতীয় ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সম্প্রতি ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মহিলাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ মহিলাই পুলিশের দ্বারস্থা না হয়ে নিজের মত করে হ্যান্ডেল করে বিষয়টি। তাতে অপরাধীরা আরও সুবিধে পাচ্ছে বলে পুলিশের একাংশের ধারনা। আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল করা একটি বড় ক্রাইম বলেও দাবি করেছে পুলিশের এক কর্তা।