সংক্ষিপ্ত
১৪ তারিখ রাতে মুন্সিডাঙ্গার বাড়ি ঘিরে ফেলে এসটিএফের বিশেষ টিম। রাতের বেলা এলাকাতে এত পুলিশের উপস্থিতি দেখে স্বভাবতই অবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।
খোদ হাওড়ার বুকে জঙ্গি (Terrorist) ঘাঁটি। বাংলাদেশী জঙ্গিদের (Bangladeshi Terrorist) আশ্রয়দাতা ছিল এক মাদ্রাসা শিক্ষক (Madrassa Teacher)। এই খবরে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিপাট ভদ্রলোক সেজে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় (Muslim inhabited area) গা ঢাকা দেয় অনিরুদ্দিন আনসারী। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার চাকরিও জুটিয়ে নেয় সে। হঠাৎ ১৪ তারিখ রাতে মুন্সিডাঙ্গার বাড়ি ঘিরে ফেলে এসটিএফের বিশেষ টিম। রাতের বেলা এলাকাতে এত পুলিশের উপস্থিতি দেখে স্বভাবতই অবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করতেই চক্ষু চড়কগাছ এলাকার বাসিন্দাদের।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার বাঁকড়া এলাকার মুন্সিডাঙ্গা এলাকায়। এসটিএফ সূত্রে খবর কলকাতায় ধৃত জঙ্গিদের জেরার সূত্রে আনসারীর খোঁজ পান তারা। জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কথা জানতে পারে তারা। এরপরই তার উপরে নজর রাখতে শুরু করে এসটিএফ। তার উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার পরই তাকে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া এই শিক্ষক আনিরুউদ্দিন আনসারী (৩৮)র বাড়ি পুরুলিয়ার পাড়া জেলায়। গত কয়েকবছর ধরে বাঁকড়া মুন্সিডাঙ্গায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। স্থানীয় মাদ্রাসায় শিক্ষকতা সঙ্গে যুক্ত ছিল। গত ১৪ মার্চ রাতে তাকে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ গ্রেপ্তার করে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে সে দুজন জেএমবি জঙ্গিকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল। জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- জনবহুল রাস্তায় ছুটছে জ্বলন্ত ট্রাক, পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচল চালক-খালাসি
আরও পড়ুন- বাংলায় জোটে নেই আপ-তৃণমূল, বাংলায় মাটি শক্ত করতেই জোরালো দাবি আম-আদমি পার্টির নেত্রীর
তার বাড়ি পুরুলিয়াতে হওয়া সত্ত্বেও সে হাওড়া কেন এসেছিল। এখানে ভাড়া বাড়ি পেতে কে সাহায্য করেছিল সেই সব তথ্য খুঁটিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি তাকে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার সময় তার যাবতীয় তথ্য স্থানীয় থানাতে বাড়িওয়ালা দিয়েছিলেন কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রয়োজনে বাড়ির মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। তবে গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে মুন্সিডাঙ্গা এলাকাতে। মাদ্রাসার শিক্ষক এভাবে তার বাড়িতে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে গ্রেফতারের খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকাতে।
সম্প্রতি কলকাতা ও কলকাতা শহরতলীর বেশ কিছু জায়গা থেকে বাংলাদেশি জে এমএম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফের বিশেষ টিম। তাদের মধ্যে একজন ওই সংগঠনের মূল পান্ডাও ছিল বলেই দাবি এসটিএফের।