সংক্ষিপ্ত
- করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এবারও স্থগিত মাহেশের রথযাত্রা
- এবারেও গড়াবে না শ্রীরামপুরের মাহেশের রথের চাকা
- মাহেশ জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের তরফে একথা জানানো হয়েছে
- করোনা পরিস্থিতির কথা মেনে এই সিদ্ধান্ত
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এবারেও গড়াবে না শ্রীরামপুরের মাহেশের রথের চাকা। এবারেও স্থগিত হয়ে গেল রথযাত্রা। মঙ্গলবার মাহেশ জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের তরফে একথা জানানো হয়েছে। এই খবর জানার পরই হতাশ ভক্তরা।
চলতি বছর ১২ জুলাই রথযাত্রা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও ভক্ত ছাড়া এবার রথযাত্রা হবে। দেশে করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর গতবছর ৬২৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য বন্ধ হয়েছিল মাহেশের রথযাত্রা। আর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর এবারও রথযাত্রা হবে না বলে জানানো হয়েছে। এবার ৬২৫ তম বছরে পড়েছে এই রথযাত্রা।
আরও পড়ুন- লকডাউনে বেকার ছেলে-স্বামী, আর্থিক অনটনে আত্মহত্যা বেহালার গৃহবধূর
মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী জানিয়েছেন, বহু মানুষ এই রথযাত্রা দেখতে আসেন। সেই পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ববিধি একেবারেই অসম্ভব। তাই এবারও রথযাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৪ জুন জগন্নাথের স্নান যাত্রা উৎসব। সাধারণত স্নানযাত্রা স্নানপিঁড়ির মাঠে হয়। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার তা হবে জগন্নাথ মন্দিরেই। ১২ জুলাই রথযাত্রার দিন মন্দিরের পাশে অস্থায়ীভাবে মাসির বাড়ি তৈরি করা হবে। সেখানেই থাকবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। শুধুমাত্র নারায়ণ শিলাকে মাসির বাড়ি পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন- আগামী তিনদিন ধরে বৃষ্টি চলবে জেলায়, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে
মার্টিন বার্ন কোম্পানির নির্মিত লোহার রথের বয়স ১৩৬ বছর। আগে ছিল কাঠের রথ। এই রথ ৫০ ফুট উচ্চতার। লোহার ১২টি চাকা রয়েছে রথে। ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথযাত্রা মাহেশের রথযাত্রা। এই রথ পরিচিত নীলাচল নামে। কথিত আছে, চৈতন্য মহাপ্রভু ও রামকৃষ্ণ দেব এই রথযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির জেরে পর পর দু'বছর গড়াল না ঐতিহ্যবাহী এই রথের চাকা।