সংক্ষিপ্ত
সিবিআই আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান সানমার্গ নামে এই চিটফাণ্ড সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায়।
বাংলায় ফের চিটফান্ড সংস্থার দৌরাত্ম্য। বর্ধমান সানমার্গ নামে একটি সংস্থার অফিস ছিল বর্ধমান শহরে। এখানকার ঢলদীঘি মোড়ের উল্টো দিকে অফিস তৈরি করে স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে টাকা তোলা শুরু করে এই চিটফাণ্ড সংস্থা। এই সংস্থা ঘিরেই ইডি এবং সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান শুরু।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সংস্থার মালিক কোম্পানি রেজিষ্ট্রেশনের সময় বর্ধমান শহরের যে বাড়ির ঠিকানা দিয়েছিল, সেই বাড়িতে ইতিমধ্যেই সমন জারি করেছে এনফোরসমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সিবিআই সংস্থার মালিককে অনেকদিন ধরেই খুঁজে বেড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তার এখনও নাগাল পাওয়া যায়নি। সিবিআই আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চিটফাণ্ড সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায়। বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে প্রণব চট্টোপাধ্যায় নিযুক্ত হওয়ার পরই তাঁকে গত বছর ডিসেম্বর মাসে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু তিনি চলতি বছরের অগাস্ট মাসে জামিন পেয়ে যান। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, তিনি জামিন পেয়ে গেলেও সংস্থার বিষয়ে তদন্ত থামেনি। প্রয়োজনে আবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
সৌমরূপ ভৌমিক বর্ধমান শহরের খক্কর সাহেব এলাকার যে বাড়ির ঠিকানা দিয়ে কোম্পানি রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন সেই বাড়িটি তাঁর নামে কোনও দিনই ছিল না বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। খক্কর সাহেব এলাকার সেই বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, বাড়িটি তাঁর খুড়তুতো ভাই অরূপ ভৌমিকের। বাড়িতে কেউ না থাকায় ভৌমিক পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে, বাড়ির কেয়ার টেকার জানান, সৌম্যরূপ এই বাড়ির সদস্য নন। উনি অরূপ ভৌমিকের খুড়তুতো ভাই। ওনাকে এই বাড়িতে কখনও দেখা যায়নি। স্থানীয়রাও দাবি করেছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে এই পাড়াতে সৌম্যরূপকে দেখা যায়নি। এটা অরূপ ভৌমিকেরই বাড়ি।
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায় বলেন, হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে তিনি চেনেন না। তার স্ত্রী রেখা চট্টোপাধ্যায়ের নামে বিল্ডিং। সেই বিল্ডিং ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। মিথ্যা মামলায় তাঁকে সিবিআই ফাঁসিয়ে দেয়। বর্ধমান সানমার্গের সঙ্গে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। তাঁর স্ত্রীর বিল্ডিং তিনি দেখভাল করেন। তাঁর ব্যাঙ্কে ৫ কোটি লোন ছিল। এখন তা কমে সাড়ে তিন কোটি টাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
ভারত-বাংলাদেশ জলপথে সহজতর পণ্য পরিবহণ, কার্গো চলাচলের জন্য কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রায়াল রান
কলকাতা মেট্রোয় এবার চিনের ডালিয়ান রেক, দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া লাইনে শুরু হল ট্রায়াল রান
“বিরাট কত রান করল, সেটা দেখছি না”, স্পষ্ট বার্তা কোচ দ্রাবিড়ের