সংক্ষিপ্ত

  • রাজধানীতে একটি আসনও পেল না কংগ্রেস
  • গতবারের মত শূন্য হাতেই ফিরতে হল
  • টানা ১৫ বছর দিল্লি শাসন করেছিল কংগ্রেস
  • এবার ভাল ফলের আশা করেছিল হাত শিবির


জনমত সমীক্ষাতে আগেই আভাস মিলেছিল। মঙ্গলবার সকাল আটটায় ভোট গণনা শুরু হতেই সেই সমীক্ষা যে নির্ভুল ছিল তা ক্রমেই প্রমাণিত হতে থাকল। ২০১৫ সালের পর ২০২০ সালেও একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে আম আদমি পার্টি তা ভোট গণনার শুরু থেকেই বোঝা গেছে। দ্বিতীয় দল হিসাবে শেষ করেছে বিজেপি। যদিও আপের সঙ্গে তাদের ব্যাবধান অনেকটাই। কেবল পরিবর্তন হয়নি একটি রাজনৈতিক দলেরই। শতবর্ষ প্রাচীন কংগ্রেস এবারও দিল্লি বিধানসভায় একটি আসনেও জিততে পারেনি।

১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল, টানা ১৫ বছর দিল্লি বিধানসভার ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই দলই একটিও আসন জিততে ব্যর্থ হয়। কংগ্রেস নেতৃত্বের আশা ছিল এবারের অবস্থা হয়তো একটু বদলাবে। সরকার গঠনের মত অবস্থায় না পৌঁছলেও খালি হাতে ফিরতে হবে না শতাব্দী প্রাচীন দলকে। অন্তত কিছু আসন জুটবে হাত শিবিরের। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। সনিয়া গান্ধীর দলকে এবারও খালি হাতেই ফেরাল রাজধানী বাসী।

আরও পড়ুন: সিদ্ধান্তহীনতার মাশুল গুনছে দল, দিল্লি ভোটে ধরাশায়ী কংগ্রেসকে নিয়ে মন্তব্য প্রণব কন্যার

এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গ জোট বেঁধে ময়দানে নেমেছিল কংগ্রেস। প্রার্থী দিয়েছিল ৭০টির মধ্যে ৬৬টি আসনে। বাকি ৪টে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জোটসঙ্গী আরজেডি। তবে জোট বেঁধেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। ত্রিমুখী দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তৃতীয় দল হিসাবে লড়াই শেষ করতে হয়েছে কংগ্রেসকে। কোথাও কোথাও জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দলের।

বুথফেরত সবকটি সমীক্ষাতেই কেজরিওয়ালের দল সরকার গড়বে বলে জানান হয়েছিল। তবে সমীক্ষায় কংগ্রেসকে এবার একেবারে খালি হাতে ফেরায়নি কেউই। তবে খালি হাতে ফেরাল বাস্তব। একটিও আসন পেল না সনিয়া গান্ধীর দল।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে কেজরি ঝড়ে ধূলিস্যাৎ গেরুয়া স্বপ্ন, তবে ভোট বাড়ল বিজেপির

তবে এবারের নিজ্ঞবাচনে প্রথম থেকেই পিছিয়ে ছিল কংগ্রেস। উন্নয়নের কথা বলে যেখানে ভোট চেয়েছেন কেজরি সেখানে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দিয়ে ময়দানে নেমেছিল বিজেপি। অন্যদিকে জনতার সিএএ, এনআরসি বিরোধিতাকে প্রচারের কাজে লাগিয়েছিল কংগ্রেস। সেই মত প্রচার চালিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর মত হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরাও। তারপরেও অবশ্য দিল্লিবাসীর সমর্থন অধরাই থাকল শতাব্দী প্রাচীন দলের।  গত লোকসভা ভোটে দিল্লির ৭টি আসনের মধ্যে একটিও জেতেনি কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটেও  সেই ধারা অব্যাহত থাকল।