সংক্ষিপ্ত
- এনআরসির নামে জাতিবিদ্বেষ ঘটনোর কাজ চলছে
- সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল এলেও সুরাহা হবে না
- এনআরসির আতঙ্ক কি কাটবে সিটিজেনশিপ বিলে
- উত্তরবঙ্গের পুলিশ লাইনে কী বললেন মুখ্য়মন্ত্রী
লোকসভা ভোটের আগে নিজেকে দেশের চৌকিদার বলে দাবি করতেন নরেন্দ্র মোদী। এবার নিজেকে রাজ্যের পাহারাদার বলে মন্তব্য করলেন মমতা। উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্য়মন্ত্রীর হুংকার,তিনি পাহারায় আছেন। কোনওভাবেই রাজ্য়ে এনআরসি হতে দেবেন না।
রাজ্যে এনআরসি হবে না। বহুদিন আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে এই আশ্বাস দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। সেই ইস্যুকে সামনে রেখেই এবার পুর নির্বাচনের বৈতরণী পারের চেষ্টায় মমতা। শিলিগুড়ির পুলিশ লাইন ময়দানে আয়োজিত বিজয়া সন্মিলনীতে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নিজেকে রাজ্যের পাহারাদার বললেন মুখ্য়মন্ত্রী। সোমবার বিজয়া সন্মিলনীর অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা। বিজয়া সন্মিলনীর অনুষ্ঠান শেষে উত্তরকন্যায় জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। পরে পাহাড় সফরে যাবেন। সেখানেই প্রশাসনিক বৈঠক সারবেন পদস্থ আমলা ও মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে ৷ তার আগে এদিন বিজয়া সন্মিলনীর অনুষ্ঠান মঞ্চে দাড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি ইস্যুতে ফের একবার বিজেপি সরকাকে তোপ দাগলেন। তিনি বলেন, এনআরসির নামে জাতিবিদ্বেষ ঘটনোর কাজ চলছে। তবে আমি বলছি এ রাজ্যে এনআরসি হবে না। আপনারা সবাই দেশের নাগরিক। কিন্তু কেন্দ্র বলছে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল এনে ছয় বছরের জন্য বিদেশি নাগরিক করে দেবে সকলকে। এটা কেন হবে। সকলেরই তো ভোটাধিকার আছে। তার মানে আমরা সকলেই দেশের নাগরিক। কোনও একটা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে দেশ চলতে পারে না। সুতরাং এনআরসির কোনও প্রশ্নই আসে না। আমি আপনাদের পাহাড়াদার। ভয় পাবেন না।
অন্যদিকে, এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লোকসভা ভোটের পর এই প্রথম এলাম। কেন জানেন? কারণ সে সময় বর্ষার জেরে অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আমাদের সরকার ও প্রশাসনের তরফে সাহায্যের হাত বাড়ানো হয়েছিল। সেসময় আমি আসলে আপনাদের সমস্যা হত। তাই আমি আসিনি। কিন্তু বর্ষা শেষ হতেই এসেছি। আবারও আসব। উত্তরবঙ্গ আরও উন্নতি সাধণ করবে। কিন্তু আগে উত্তরবঙ্গ ব্রাত্য ছিল। তবে আমরা উত্তরবঙ্গকে ক্রমেই এগিয়ে নিয়ে যাব।
রাজ্য রাজনৈতিক মহল বলছে,অসমে এনআরসিতে হাত পুড়েছে বিজেপির। এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর বাদ পড়েছে বহু হিন্দু। যা চাপে রেখেছে বিজেপিকে। নতুন করে রাজ্যে তাই সুর নরম করেছে গেরুয়া ব্রিগেড। এমনকী রাজ্যে এসে এক বারের জন্য এনআরসি প্রসঙ্গ মুখে উচ্চারণ করেননি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর মুখে প্রথম থেকেই ছিল সিটিজেন্স অ্য়ামেন্ডমেন্ট বিলের কথা। এদিন যা নিয়ে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।