সংক্ষিপ্ত
- দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্যানিং থানার ঘটনা
- গৃহবধূর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে ধর্ষণ
- ঘনিষ্ঠ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট
- একবছর পর গ্রেফতার অভিযুক্ত
প্রথমে গৃহবধূর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করা। তার পর তাঁকে নেশার দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে ধর্ষণা করে সেই ছিব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া। এমনই গুরুতর অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্যানিং থানা এলাকায়। ধৃত যুবকের নাম রানা দত্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে খবর, এক বছরেরও বেশি সময় আগে ক্যানিংয়ের আমড়াবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা রানা গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা এক গৃহবধূর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, নিজের স্বামীর সম্পর্কে ভুল বুঝিয়ে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল রানা। সেই ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়েই নিজের বাড়িতে ডেকে পানীয়ের সঙ্গে নেশার দ্রব্য মিশিয়ে ওই গৃহবধূকে রানা একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- স্ত্রীকে দুই বন্ধুর হাতে তুলে দিল স্বামী, সোনারপুরে বধূকে গণধর্ষণ
রানার চক্রান্ত ও নিজের ভুল বুঝতে পেরে স্বামীর কাছে ফিরে যান ওই গৃহবধূ। এর পরেই ওই গৃহবধূর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে শুরু করে অভিযুক্ত যুবক। নকল আইডি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলে ওই যুবক এই কাজ করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে ওই গৃহবধূ এবং তাঁর স্বামীকে রানা প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তের ভয়ে ক্যানিং ছেড়ে সুভাষগ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল ওই দম্পতি। কিন্তু অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে গত একবছর ধরে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে তাঁরা। পুলিশের পাশাপাশি দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের। অবশেষে আদালতের নির্দেশে শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ। ধৃতকে এ দিন আলিপুর আদালতে তোলা হয়। অন্যদিকে এ দিনই আলিপুর আদালতে নির্যাতিতা মহিলার গোপন জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়।