সংক্ষিপ্ত

  • ভগ্নীপতির কুপ্রস্তাবে রাজি হননি শ্যালিকা
  • ডানকুনিতে খুন হয়ে গেলেন এক মহিলা
  • পানা পুকুরে মিলল মৃতদেহ
  • অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

কুপ্রস্তাবে রাজি হননি। মদ্যপ অবস্থায় শ্যালিকাকে খুনই করে দিল এক যুবক! এলাকার একটি পানা পুকুর থেকে ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তদন্তকারীদের অনুমান, খুনের ওই মহিলার উপর যৌন নির্যাতনও  চালিয়েছে সে। 

মৃতার নাম রীনা খাতুন। বছর তেইশের ওই যুবতীর বাড়ি ডানকুনি বাগপাড়া এলাকায়।  গত ২০ নভেম্বর  ভরসন্ধেবেলায় আচমকাই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান রীনা।  সেদিন রাতেই এলাকার একটি পানা পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা ছিল সফিকুল নামে এক যুবক। ওই যুবক আবার সম্পর্কে মৃতার ভগ্নীপতি। সন্দেহ হয় পুলিশের। জানা যায়, জানকুনি থানার মীরপুর গ্রামে বাড়ি ওই যুবকের। তক্কে তক্কে ছিলেন তদন্তকারীরা।   শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরতেই গ্রেফতার করা হয় সফিকুলকে।

আরও পড়ুন: কাকভোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ফরাক্কায়, বাস ও ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে মৃত ৬

তদন্তকারীদের দাবি,  বড় শ্যালিকা রীনা খাতুনকে কুনজরে দেখত সফিকুল।  ঘটনার দিন সন্ধেবেলায় যখন আকণ্ঠ মদ্যপান করে ফিরছিল সে, তখন রাস্তায় রীনার সঙ্গে দেখা হয়।  শ্যালিকাকে পুকুর পাড়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে সফিকুল। বাধা দেন রীনা, চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। নেশার ঘোরে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে সফিকুল এবং মৃতদেহটি পুকুরে ফেলে দেয়।  এদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির ডানকুনিতে। সফিকুলের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন মৃতার পরিবারের লোকেরা।

কয়েক দিন আগে হুগলিরই পাণডুয়ার পরকীয়ায় সম্পর্কে কারণে খুন হতে হন এক মহিলাকে। প্রেমিকই তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর অভিযুক্ত নিজেও আত্মহত্যা করে। ধানক্ষেত থেকে দু'জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।