সংক্ষিপ্ত
- শুক্রবার থেকে নাজেহাল ট্রেন যাত্রীরা
- রবিবার বাতিল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন
- ব্যবত লোকাল ট্রেন পরিষেবাও
- চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনি নিয়ে শুক্রবার থেকেই উত্তাল রাজ্য। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের জেরে নাজেহাল স্বাভাবিক রেল পরিষেবা। শুক্রবার দুপুর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন ট্রেন বাতিল হতে থাকে। কোথাও আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে ট্রেন। রাতের দিকে ক্ষণিকের জন্য স্বাভাবিক হয়েছিল রেল পরিষেবা। এরপর কেটে গিয়েছে আরও একটা দিন। কিন্তু রবিবারও রাজ্যের চিত্রের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন ঘটতে দেখা গেল না।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে, জল্পনা উস্কে দিলেন রাজ্যপাল
শনিবার একাধিক ট্রেন বাতিল হওয়ার ছবি ধরা দিল রবিবারেও। এদিন সকাল থেকেই একের পর এক ট্রেন বাতিলের খবর প্রকাশ্যে উঠে আসে। উত্তাল বিভিন্ন এলাকার স্টেশন চত্বর। ফলে ট্রেন চলাচল ব্যহত। মধ্যে থেকে চরম বিপত্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। রবিবার হাওড়া থেকে বাতিল হওয়া ট্রেনের তালিকাতে রইল, হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, আজিমগঞ্জ হাওড়া এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ সহর্ষ হাটেবাজারে এক্সপ্রেস, কলকাতা গুয়াহাটি গরিবরথ এক্সপ্রেস, শালিমার কুরলা এক্সপ্রেস, হাওড়া দিঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া কাটিয়ার এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুনঃ সিএবি ২০১৯ নিয়ে অশান্তি-হিংসা, মমতা-কে দায়ী করলেন রাহুল
শিয়ালদহের পরিস্থিতিও একই। এখান থেকে বাতিল হয়েছে, হাওড়া আলিপুরদুয়ার তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, কলকাতা রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, কামরূপ এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস, শিয়ালহদ আলিপুর দুয়ার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। এছাড়াও ব্যহত লালগোলা, মুর্শিদাবাদের একাধিক ট্রেন। রবিবার সকাল থেকেই ক্রমেই ভিড় বাড়তে থাকে স্টেশন এলাকাতে। তিনদিন ধরে মানুষের ভোগান্তির ছবিটা যেন ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনেরা প্রতিনিয়ত শান্তি বজার রাখার বার্তা দিয়ে চলেছেন। স্বাভাবিক জীবন ব্যহত করে প্রতিবাদের অর্থ ভোগান্তি বাড়িয়ে তোলা। প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব নয়, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠুক, বার্তা এশিয়ানেট নিউজ বাংলার।