সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার সকালে গ্রামের রাস্তায় একটি ও স্থানীয় ইটের গাদায় একটি পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। পোস্টার দুটিতে স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা জয়ন্ত দাসকে হুমকি দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘জয়ন্ত দাস তোর দিন শেষ। তুই মরবি’। অন্যটিতে লেখা, ‘জয়ন্ত দাস তোর দিন শেষ। সাবধান।’ দু’টিতেই মাওবাদীদের উল্লেখ করা হয়েছে।
পুরভোটের (WB Municipal Election 2022) দামামা বেজে গিয়েছে রাজ্যে। আর ঠিক তার আগেই তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader) প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া মাওবাদী (Maoist Poster) নামাঙ্কিত পোস্টার পড়ল বাঁকুড়ায় (Bankura)। সেই পোস্টারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বাঁকুড়ার ছাতনা থানার কেন্দুয়া গ্রামের ঘটনা এটি।
শুক্রবার সকালে গ্রামের রাস্তায় একটি ও স্থানীয় ইটের গাদায় একটি পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। পোস্টার দুটিতে স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা জয়ন্ত দাসকে হুমকি দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘জয়ন্ত দাস তোর দিন শেষ। তুই মরবি’। অন্যটিতে লেখা, ‘জয়ন্ত দাস তোর দিন শেষ। সাবধান।’ দু’টিতেই মাওবাদীদের উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- হিংসার পরিবেশে বাংলার দায়িত্ব নিয়েছিল আইপ্যাক, দাবি পিকে-র সংস্থার ওয়েবসাইটে
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জয়ন্ত বলেন, "আজ সকালে পোস্টারগুলি দেখার পরেই পুলিশকে জানিয়েছি। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা বলতে পারব না। এর আগে এই এলাকায় এমন পোস্টার কোনও দিন পড়েনি। পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।" এনিয়ে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা বলেন, "বিজেপি এখন কোথাও নেই। তাই তারা মাওবাদীদের নামে পোস্টার দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ঘটনা তারই ফল।"
আরও পড়ুন- নেতৃত্ব পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে তৃণমূল, ক্রমে বাড়ছে ফাটল - বৈঠক ডাকতেই হত মমতাকে
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাঁকুড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, "এই পোস্টারের পিছনে রয়েছে তৃণমূলেরই কোনও গোষ্ঠী। কাটমানির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই তৃণমূলের এক পক্ষের বিরুদ্ধে অন্য পক্ষ মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার সাঁটিয়েছে।"
আরও পড়ুন- তৃণমূলের রাশ থাকবে কার হাতে, ঠিক হবে শনিবার - সবাইকে কালীঘাটে ডাকলেন মমতা
এদিকে পোস্টার দুটি নজরে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে ছাতনা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুব তৃণমূল নেতা। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ও স্থানীয়দের বেশিরভাগই মনে করছেন এই পোস্টারের সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও যোগ নেই। স্থানীয় রাজনৈতিক বা পারিবারিক শত্রুতার জেরে মাওবাদীদের নাম করে কেউ এই পোস্টার দিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পিছনে স্থানীয় কোনও সমস্যা বা শত্রুতার বিষয় থাকতে পারে বলেও বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন। বিরোধী দলের কেউ এই কাজ করেছে বলে দাবি তৃণমূল নেতার।