সংক্ষিপ্ত

রঙের কারখানায় অনেক দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার ফলে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এমনকী রঙের কারখানা থেকে ওই আগুন আশপাশের কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয়দের তরফে দাবি করা হয়েছে। অনেক চেষ্টার পরও আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছিল না। 

বছরের প্রথম দিনই (First Day of the Year) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল কৈখালিতে (Kaikhali)। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ কৈখালির চিরিয়ামোরের একটি রংয়ের কারখানায় (Chemical Factory) ভয়াবহ আগুন (Fire) লাগে। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের (Fire Brigade) দুটি ইঞ্জিন। কিন্তু, আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে পরে আরও একটি ইঞ্জিন (Fire Engine) নিয়ে আসা হয়। পরে ঘটনাস্থলে যায় এনডিআরএফের (NDRF) সদস্যরাও। প্রাথমিক তদন্তের পর দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। 

এদিকে রঙের কারখানায় অনেক দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার ফলে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এমনকী রঙের কারখানা থেকে ওই আগুন আশপাশের কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয়দের তরফে দাবি করা হয়েছে। অনেক চেষ্টার পরও আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ যেহেতু কেমিক্যালের কারখানা তাই পরিস্থিতি বাগে আনতে দমকলের একটু সমস্যা হচ্ছিল। আর ওই কারখানার পাশেই রয়েছে বাচ্চাদের পোশাক তৈরির কারখানা। আগুন সেই কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। 

আরও পড়ুন- কল্পতরু উৎসবেও করোনার ছায়া, বছরের প্রথম দিনেই বন্ধ থাকল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের দরজা

স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে, ওই রঙের কারখানার মধ্যে দাহ্যবস্তু বোঝাই একাধিক ড্রাম ছিল। আগুন লাগার পর সেই ড্রামগুলি ফাটতে শুরু করে। বাইরে থেকেই সেই ড্রাম ফাটার তীব্র আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলেন তাঁরা। আর দাহ্য পদার্থ থাকার ফলে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সব জায়গায়। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছিল দমকলকে। পাশাপাশি খুব ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানা। সেই কারণে দমকলের গাড়িগুলি ঠিক করে ঘটনাস্থান পর্যন্ত পৌঁছাতেও পারছিল না। এতে কাজ কিছুটা হলেও দেরি হয়। আর সেখানে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় খুব কম সময়ের মধ্যে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল আগুন। এত ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে ওই দাহ্য পদার্থ ভর্তি কারখানা তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা সঠিকভাবে ছিল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন- প্রতিষ্ঠা দিবসেই বর্ষবরণের আমেজ, তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা উত্তোলন সভাপতি সুব্রত বক্সির

এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থানে পৌঁছান রাজারহাট-গোপালপুরের (Rajarhat Gopalpur assembly constituency) বিধায়ক অদিতি মুন্সী (Aditi Munshi)। সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিনি বলেন, "অনেকটাই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দমকল বাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। আশা করা যায় কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। তবে কী থেকে আগুন লেগেছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মূলত এটা একটা কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি। পাশে গেঞ্জির কারখানা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে গেলে যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা সবই নেওয়া হবে। সবথেকে বড় বিষয় এটা ঘনবসতি এলাকা। আশপাশে অনেক বাড়ি আছে। ফলে এই এলাকায় যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য যে যে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা আমরা সবই করব।"