সংক্ষিপ্ত
- মানসিক রোগের চিকিৎসা করানো সামর্থ্য ছিল না
- ছেলের হাতে খুন হয়ে গেলেন এক মহিলা!
- হাঁসুয়ার কোপে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল দেহ
- অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
মানসিকভাবে সুস্থ নয়, মাঝেমধ্যে একে-তাকে ধরে বেধড়ক মারধর করত। আর এবার নিজের মা-কেই হাঁসুয়ার কোপ মেরে খুন করে ফেলল ছেলে! ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের রানীনগরে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে বাড়িতে চড়াও দুষ্কৃতীরা, গুলি করে-কুপিয়ে খুন প্রতিবাদীকে
অভিযুক্তের নাম মাফিকুল ইসলাম। বাড়ি, মুর্শিদাবাদের রানীনগরের মদনপুরে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার, সংসারে নুন আনতে পান্থা ফুরোনোর দশা। মানসিক রোগের চিকিৎসা করানো মতো সামর্থ্য কোথায়! মা সারবানু বেওয়ার তো বটেই, পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গেও নিত্যদিন অশান্তি লেগে থাকত মাফিকুলের। প্রতিবেশীদের দাবি, ইদানিং বদমেজাজি ছেলেটা হিংস্র হয়ে উঠছিল ক্রমশই। পাড়ার লোকেদের মারধর করতে পিছুপা হত না সে।
জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে কল জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে দাদা শহিদুলের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় মাফিকুলের। ছেলেকে যখন বোঝাতে যান সারবানু, তখন মাফিকুল বেজায় চটে যায়। এরপর হাঁসুয়া দিয়ে নিজের মা-কে এলোপাথারি কোপ মেরে সে চম্পট দেয় অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধা। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সারবানু বেওয়ার-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: লকডাউনে উপার্জন বন্ধ, খাওয়ার খরচ দিতে না পারায় বৃদ্ধ বাবা-কে তাড়াল ছেলে
অভিযুক্ত মাফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার আর এক ছেলে শাহিদুল। চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে রাতে তাকে ধরেও ফেলে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শরবী জানিয়েছেন, 'তদন্ত চলছে। তবে অভিযুক্ত যে মানসিক বিকারগ্রস্থ, প্রাথমিকভাবে তার প্রমাণ মিলেছে।'