সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনের নিদারুণ পরিণতি
- কেরলে আটকে ছিলেন মুর্শিদাবাদের তরুণ
- মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করলেন তিনি
- দেহ ফিরিয়ে আনার আর্জি পরিবারের
লকডাউনের জেরে তবে আর বাড়ি ফেরা হবে না? মানসিক অবসাদে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করলেন এ রাজ্যের এক পরিযায়ী শ্রমিক। কেরল থেকে দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। শোকের ছায়া মুর্শিদাবাদের ডোমকলে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের নিদারুণ পরিণতি, পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের
মৃতের নাম আশিক ইকবাল মণ্ডল। বাড়ি, ডোমকল শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডে। কয়েক মাস আগে কেরলে ঠিকাশ্রমিকের কাজ করতে যান বছর বাইশের ওই তরুণ। আরও অনেকের মতো লকডাউনে আটকে পড়েন আশিকও। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কেরল থেকে রাজ্যে ফিরেছেন বারোশো পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের সকলেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন গ্রামে। কিন্তু বাদ পড়ে যান ডোমকলের ওই তরুণ। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
পরিবারের লোকেদের দাবি, লকডাউনের কারণে ভিনরাজ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হচ্ছিল আশিককে। তার উপর বিশেষ ট্রেনেও ফিরতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। বাড়িতে ফোন করেও সেকথা জানিয়েওছিলেন। মানসিক অবসাদ এতটাই বেড়ে দিয়েছিল যে, শনিবার সকালে কেরলে আত্মহত্যা করেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। ডোমকলের বাড়িতে খবর পৌঁছতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা। শোকের ছায়া নামে এলাকায়।
আরও পড়ুন: রণক্ষেত্র হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুর, মন্দিরে ভাঙচুর, রাজ্যপালের টুইটে চড়ল উত্তেজনার পারদ
আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে অটো-ওলা-উবার করে হরিশ্চন্দ্রপুরে পরিযায়ী শ্রমিকরা, আতঙ্কে তটস্থ মানুষ
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ থেকে ভিনরাজ্যে বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যান বহু মানুষ। লকডাউনের জেরে রাতারাতি রোজগার হারিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। যে করে হোক বাড়ি ফিরে আসতে চাইছেন সকলেই।