সংক্ষিপ্ত

মিঠুন জানিয়েছেন, ঝালদা থানার আই সি সঞ্জীব ঘোষ তাঁর কাকা তপন কান্দুকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েক বার ফোন করেছিলেন। সেই অডিও তাঁর কাছে রেকর্ড করা রয়েছে। এবার তদন্তের জন্য সেই মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করল ঝালদা থানার পুলিশ। আজ মিঠুন কান্দু নিজেই ঝালদা থানায় গিয়ে সেই মোবাইল ফোন পুলিশের কাছে জমা দেন।

ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর (Jhalda Congress Councilor) খুনের ঘটনায় তদন্তে নয়া মোড়। নিহত কাউন্সিলার তপন কান্দুর (Tapan Kandu) ভাইপো মিঠুন কান্দুর (Mithun Kandu) মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করল ঝালদা থানার পুলিশ (Jhalda Police Station)। এই ফোন থেকেই ঝালদা থানার আইসির (Jhalda IC) সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে। তদন্তের জন্যই এই ফোন বাজেয়াপ্ত (Mobile Seized) করেছে পুলিশ।

কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুর হত্যার পরে মিঠুনের সঙ্গে ঝালদা থানার আই সির মোবাইল ফোনের কথা হয়। এরপর ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় সেই অডিও (যদিও ওই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা)। এদিকে অডিও নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও মিঠুন কান্দু অবশ্য স্বীকার করেছেন যে ভাইরাল হওয়া এই অডিও তাঁর এবং ঝালদা থানার আই সি সঞ্জীব ঘোষের।

আরও পড়ুন- ঝালদা খুনে খুনির স্কেচ প্রকাশ, হদিশ দিলেই মিলবে মোটা টাকা

মিঠুন জানিয়েছেন, ঝালদা থানার আই সি সঞ্জীব ঘোষ তাঁর কাকা তপন কান্দুকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েক বার ফোন করেছিলেন। সেই অডিও তাঁর কাছে রেকর্ড করা রয়েছে। এবার তদন্তের জন্য সেই মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করল ঝালদা থানার পুলিশ। আজ মিঠুন কান্দু নিজেই ঝালদা থানায় গিয়ে সেই মোবাইল ফোন পুলিশের কাছে জমা দেন।

আরও পড়ুন- জনবহুল রাস্তায় ছুটছে জ্বলন্ত ট্রাক, পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচল চালক-খালাসি

উল্লেখ্য, ১৩ মার্চ সন্ধেয় ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। তখনই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এই ঘটনায় তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দুকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে আততায়ীরা সুপারি কিলার (Contract killing)। এই খুন করার জন্য ভিন রাজ্য থেকে এসেছিল তারা। তাদের মোটা টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার তদন্তে জেলা পুলিশের সঙ্গে সিআইডি (CID) গোয়েন্দারাও রয়েছেন। পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ ও কাউন্সিলরের সঙ্গে ঘটনার দিন যাঁরা ছিলেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীদের অনুমান, আততায়ীদের সুপারি দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছিল। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি ঝাড়খণ্ড লাগোয়া। ফলে ঝাড়খণ্ড থেকেই সুপারি কিলার নিয়ে আসা হয়েছিল বলে অনুমান। 

আরও পড়ুন- কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে কাঠগড়ায় ঝালদা থানার আইসি, মৃতের ভাইপোর সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসে বাড়ছে রহস্য

ঘটনার দিন আততায়ীদের দেখেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আর তাঁদের বিবরণের উপর ভিত্তি করেই খুনির ওই স্কেচ প্রকাশ করে পুলিশ। যদি কেউ ওই খুনির হদিশ দিতে পারেন তাহলে তাঁকে পুলিশের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে ঝালদায় কাউন্সিলার তপন কান্দুর হত্যার ঘটনায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। বুধবার থেকেই বিশেষ ভাবে তদন্তে নেমে পড়েছে এই দলটি। তাদের সহায়তা করছে সিআইডি-র একটি দল। জেলা পুলিশ সুপার  এস সেলভা মুরুগান জানিয়েছেন, ছয় সদস্য নিয়ে গঠিত হয়েছে এই দলটি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপারেশনস চিন্ময় মিত্তলের নেতৃত্বে এই তদন্তকারী দলে রয়েছেন ঝালদার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, ডিএসপি ডিইবি, ডিএসপি হেড কোয়ার্টার্স, সি আই বলরামপুর এবং একজন প্রভেশনারী আই পি এস অফিসার।