সংক্ষিপ্ত

এই খুনের ঘটনায় পুরুলিয়ার ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা।

পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনার রোজই দেখা যাচ্ছে নতুন মোড়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মৃতের ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ দীপককে গ্রেফতার করে। বুধবার ধৃতকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয়। এমতাবস্থায় এবার তপন কান্দুর ভাইপোর সঙ্গে ঝালদা থানার আইসি-র কথোপকথন ঘিরে নতুন করে বেড়েছে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই মিঠুন কান্দুর সঙ্গে ঝালদা থানার আইসি-র কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এই অডিওর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি এশিয়ানেট। এদিকে এই খুনের ঘটনায় পুরুলিয়ার ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা। 


ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগনকে সোমবার রাতে একটি চিঠিও লিখেছেন তিনি। তাতেই আইসি ছাড়া, নিহতের ভাইপো দীপক কান্দু (পুরভোটে ২ নম্বর ওয়ার্ডে তপনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী), দীপকের বাবা নরেন কান্দু, এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত বিশ্বনাথ কান্দু, শ্যামাপদ সাউ ও ভীম তিওয়ারির নামও রয়েছে। তার মধ্যেই এই অডিও টেপ ভাইরাল হওয়ায় নতুন করে বেড়েছে চাঞ্চল্য। এদিকে ঘটনার শুরুর দিকে নজর দিলে তপন কান্দুর স্ত্রী আগেই তাঁর স্বামীর খুনের জন্য দায়ী করেছিলেন আইসি-কে। এরইমাঝে এবার ভাইরাল অডিও নিয়ে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা। অডিওটি নিয়ে শোরগোলও পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।

আরও পড়ুন- ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখার জন্য মিলবে অর্ধ-দিবস ছুটি, বড় ঘোষণা অসমে

আরও পড়ুন- জনবহুল রাস্তায় ছুটছে জ্বলন্ত ট্রাক, পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচল চালক-খালাসি

আরও পড়ুন- বাংলায় জোটে নেই আপ-তৃণমূল, বাংলায় মাটি শক্ত করতেই জোরালো দাবি আম-আদমি পার্টির নেত্রীর

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপনকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগের আঙুল তোলা হয় তপনের দাদা নরেন কান্দু এবং ভাইপো দীপকের বিরুদ্ধে। খুনে প্রত্যক্ষ ভাবে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধেও। অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃত তপন কান্দুর স্ত্রী। তপন কান্দু খুনের পরই তিনি দাবি করেন এই ঘটনার সঙ্গে থানার আইসি জড়িতে। স্থানীয় রাজনীতির কারণেই কী তপন কান্দুর খুন বলে মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল । এদিকে ভাইরাল অডিও টেপে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে কাকার সঙ্গে মিঠুনের কথা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নই বারবার করছেন আইসি-র। আর সেখানেই ঘনিয়েছে নতুন রহস্য। কেন তিনি মূল অভিযুক্তকে নানা বিধি প্রশ্নের জালে জড়াতে চাইছেন যখন অভিযোগ রয়েছে তার নামেও সেই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে নানা মহলে।