সংক্ষিপ্ত

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি নেতাদের নাম ধরে ধরে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। অপরদিকে উত্তর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান পুরসভার মোট ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রাজ্যজুড়ে পুরভোটের মুখে নির্দল কাঁটায় বিদ্ধ তৃমমূল-কংগ্রেস। আর তাতেই অস্বস্তি বাড়ছিল দলের অন্দরেই। এমতাবস্থায় পুরভোটের আগে আচমকাই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। যা নিয়ে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে! মঙ্গলবারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র। মুর্শিদাবাদ জেলার ৭ পুরসভার তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ মোট ২৮জন নির্দল তৃণমূল নেতা প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছিলেন। তাঁদেরকে দল থেকে পাকাপাকি ভাবে এক ঝটকায় বহিষ্কার করে ছেঁটে ফেলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মোট দুই ভাগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলায় পাঁচটি পুরসভার মোট ১৭জন নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। 

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি নেতাদের নাম ধরে ধরে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। অপরদিকে উত্তর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান পুরসভার মোট ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের প্রার্থীপদ না পেয়ে শাসকদলের নেতারা নির্দলে লড়াই করছিলেন। নির্দলে লড়াই করে জিতে এসে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরার কথাও ভাবছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু সেই পথ আর খোলা রইল না। নির্দলদের বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্ব একাধিকবার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও অধিকাংশই প্রার্থীপদ থেকে নাম প্রত্যাহার করেননি। তাই দল থেকে তাঁদের সাসপেন্ড করা হল বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, কবে শুরু হচ্ছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি

আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে এবারের বাজেট, দাবি মোদীর

বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাওনি সিংহরায় বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মতো জেলার নেতারা বৈঠক করে সমস্ত নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁরা প্রত্যেকেই দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করে দলের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাই তাঁদেরকে বহিষ্কার করা হল। এরপরও জেলার কোনও নেতা বা কর্মী যদি নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করেন বা দলবিরোধী কোনও কাজ করেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া অবস্থান নেবে দল। মুর্শিদাবাদ পুরসভায় নির্দলে দাঁড়ানো মোট চারজনকে তৃণমূলের তরফ থেকে বহিষ্কার করা হল। সেই তালিকায় রয়েছেন, ৬নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী সোনালি সিংহরায়, ৭নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বজিৎ দে, ১০নম্বর ওয়ার্ডের আশিয়ানা বেগম ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধদ্ধরী মণ্ডলকে বহিষ্কার করা হল। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভায় চারজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই তালিকায় আছেন ২নম্বর ওয়ার্ডের রাজেশ পাল, ৬নম্বর ওয়ার্ডের মৌমিতা সরকার, ৮নম্বর ওয়ার্ডের পরিমল সরকার, ১০নম্বর ওয়ার্ডের নির্দলে দাঁড়ানো প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হল।দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর বেলডাঙা পুরসভার ছ’জন নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেখানে ৩, ৪, ৫, ৮, ৯, ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীদের বহিষ্কার করল তৃণমূল।”

আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের

আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার

একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, কান্দি পুরসভার তিন নির্দলের বিরুদ্ধেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। কান্দির ৬ নম্বর, ৯ ও ১৪নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জঙ্গিপুর পুরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের শান্তা সিংহ শাসকদলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান। তাই দল তাঁকে বহিষ্কার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।