সংক্ষিপ্ত
- করোনা ভাইরাস রুখতে মাস্ক 'কার্যকর নয়'
- শ্রমিকদের গামছা বিলি খোদ পুরপ্রধানের
- আজব কাণ্ড হুগলির চাঁপদানিতে
- ঘটনায় হতবাক চিকিৎসকরা
পরতে হবে মাস্ক, আর খোদ পুরসভার চেয়ারম্যানই কিনা গামছা বিতরণ করলেন শ্রমিকদের! বাজারে যে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে, তার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। করোনা আতঙ্কের মাঝেই এমন আজব ঘটনা ঘটল হুগলির চাঁপদানিতে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে মানবিক উদ্যোগ, বিনা পয়সায় মাস্ক বিলি গড়িয়ার দম্পতির
আতঙ্ক ছিলই। মাত্র কয়েক দিনে ব্যবধানে কলকাতায় তিনজন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি ইল্যান্ড ফেরত দুই তরুণ ও স্কটল্যান্ড থেকে আসা এক তরুণী। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এখন প্রায় সকলে মাস্ক পরে রাস্তা বেরোচ্ছেন। ব্যবহার বেড়েছে স্যানিটাইজারেরও। আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি। স্যাটিজাইজার যদিবা পাওয়া যাচ্ছে, অতিরিক্ত চাহিদার কারণে বাজার থেকে কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে মাস্ক! চলছে দেদার কালোবাজারিও।
আরও পড়ুন: ফের নিয়ম ভঙ্গ, বিদেশ থেকেই ফিরেই সোজা অপারেশন থিয়েটারে গেলেন বসিরহাটের এক চিকিৎসক
শুক্রবার হুগলি চাঁপদানিতে করোনা ভাইরাস নিয়ে জুটমিল শ্রমিকদের সচেতন করতে পথে খোদ তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্র। কিন্তু মাস্ক নয়, স্থানীয় ডালহৌসী জুটমিলের শ্রমিকদের হা়জার দেড়েক গামছা বিলি করলেন তিনি! চেয়ারম্যানের দাবি, মুখ ঢাকার জন্য় গামছাই নাকি সবচেয়ে ভালো! দিনভর ব্যবহারের পর রাতে গামছা কেচে নিয়ে যদি ফের ব্য়বহার করা হয়, তাহলে আর সংক্রমণের কোনও ভয় থাকবে না। তাঁর আরও বক্তব্য, বাজার চলতি মাস্কগুলি ভাইরাসকে আটকানোর ক্ষেত্রে আদৌও কার্যকর নয়। বরং ছয়-সাত ঘণ্টা টানা পরে থাকার পর সেগুলি ফেলে দিতে হয়। তবে চাঁপদানি পুরসভার চেয়ারম্যান যাই বলুন কেন, গামছা দিয়ে করোনা ভাইরাস আটকানোর তত্ত্ব মানতে নারাজ চিকিৎসকরা। হুগলির প্রখ্যাত মাইক্রোবায়োলজিস্ট সোমনাথ দাসের বক্তব্য, গামছা হচ্ছে অনেক বড় মাস্কের মতো। তবে গামছা দিয়ে ধুলো-বালি আটকানো যায়, ভাইরাসকে নয়।