সংক্ষিপ্ত
বাঁকুড়া জেলায় তিনটি পুরসভাতে ৫৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র দুটি ওয়ার্ডে জিতেছে বিজেপি। দলের এই খারাপ ফল ও ভরাডুবির জন্য দলের সংগঠনকে দুষলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক।
গোটা রাজ্যে তৃণমূল ঝড়ে কার্যত দিশেহারা অবস্থা বিজেপির। এমনকি ১০৮টি পুরসভার মধ্যে একটিতেও জয় পায়নি পদ্ম শিবির। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়ছে দলের অন্দরেই। এমতাবস্থায় এবার ভোটের ফল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমর নাথ শাখাকে। পুরসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারনে, এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ওন্দা বিধানসভার পদ্ম বিধায়ক অমর নাথ শাখা। বাঁকুড়া জেলায় তিনটি পুরসভাতে ৫৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র দুটি ওয়ার্ডে জিতেছে বিজেপি। দলের এই খারাপ ফল ও ভরাডুবির জন্য দলের সংগঠনকে দুষলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক।
এই প্রসঙ্গেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “যোগ্য নেতৃত্বের হাতে জেলার দায়িত্ব না তুলে দিয়ে প্যারাসুট থেকে নামানো নেতাদের যারা কখনও বিজেপি করেনি তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে বিজেপি সংগঠনের দায়িত্ব। এই ফল সেটা প্রমান করছে নেতৃত্ব কতটা অযোগ্য।” এদিকে বাঁকুড়ার ১৬ নং ওয়ার্ড বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী সুভাষ সরকার ও বিজেপি বাঁকুড়ার বিধায়ক নিলাদ্রি শেখর দানার ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডে বিজেপি পৌঁছে গিয়ে চার নম্বরে। যা নিয়েও দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে ক্ষোভের বাতাবরণ। এই প্রসঙ্গে অমর নাথ শাখার দাবি, “পাপের প্রায়শ্চিত্ত করুক দল”। বাঁকুড়া জেলার তিনটি পৌরসবায় তিনটিতেই ফুটেছে ঘাসফুল। বাঁকুড়া পুরসভায় মোট ওয়ার্ড ২৪ টি। তারমধ্যে তৃণমূল একাই জিতেছে ২১টি।তিনটি জিতেছে নির্দলেরা।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
অন্যদিকে বাঁকুড়ার সোনামুখী পুরসভায় মোট ওয়ার্ড ১৫টি। এখানে তৃণমূল জিতেছে ৯ টি ওয়ার্ড। অন্যদিকে সিপিআইএম ২টি ওয়ার্ড জিতেঠে। নির্দলেরা জিতেছে ৪টি করে ওয়ার্ড। অন্যদিকে বিষ্ণুপুর পুরসভায় মোট আসন ১৯ টি। তার মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ১৩ টি। বিজেপি জিতেছে ২টি। কংগ্রেস জিতেছে ১টি। নির্দলেরা জিতেছে ৩টি আসন। এই ফলেই কার্যত মুষড়ে পড়েছে পদ্ম শিবির। এমনকী দলীয় সূত্রে থবর, গোটা রাজ্যজুড়ে এত খারাপ ফল হবে তা অনুধাবন করতে পারেনি দিলীপ সুকান্তদের মতো শীর্ষ নেতৃত্বরাও। অন্যদিকে বিধানসভা ভোটের পর গোটা রাজ্যজুড়েই বহু বিজেপি কর্মী বর্তমানে ফের ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে। তারফলে সাংগঠনিক শক্তিও অনেকটাই কমেছে দিলীপদের। সঙ্গে লেগে রয়েছে দলীয় কোন্দল। যারই কু-ফল পড়েছে ভোটের ফলে, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।