সংক্ষিপ্ত
শারদীয়া উপলক্ষ্যে বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য নবাব নগরীতে সংস্কার। বাইরে থেকে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে পুজোর সময় দর্শনার্থীদের মন টানতে রবিবার নবাব নগরী মুর্শিদাবাদে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল 'মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ এন্ড কালচারাল ডেভলপমেন্ট সোসাইটি'।
শারদীয়া উপলক্ষ্যে বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য নবাব নগরীতে সংস্কার ( Murshidabad)। বাইরে থেকে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে ( Durga Puja ) পুজোর সময় দর্শনার্থীদের মন টানতে রবিবার নবাব নগরী মুর্শিদাবাদে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল 'মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ এন্ড কালচারাল ডেভলপমেন্ট সোসাইটি' (Murshidabad Heritage and Cultural Development Society)।কালের নিয়মে হেলে পড়া নবাব নগরীর অন্যতম (Memorial) স্মারক সংস্কারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল এই সংস্থা । ইতিহাসের সাক্ষি ওই স্মারক সংস্কারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে ইতিহাস গবেষকদের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ করা যায়।
আরও পড়ুন, পুজোয় গভীর রাত অবধি খোলা থাকবে পানশালা-দোকান-রেস্তরাঁ, ঘোষণা নবান্নের
এই ব্যাপারে এদিন সংবাদমাধ্যমে সামনে হাজারদুয়ারির দায়িত্ব প্রাপ্ত সুপারিন্টেনডেন্ট অব আরকিউলজিস্ট গৌতম হালদার বলেন , 'ইতিহাস রক্ষা করতে ওই সংগঠন দীর্ঘ দিন কাজ করছেন ।ওই স্মারক টি আমাদের মধ্যে পড়ে না , কিন্তু স্মারকটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে ।' দক্ষিণদরজা দিয়ে হাজারদুয়ারির প্রবেশ পথে কিল্লা নিজামত এলাকায় বিশালাকার কষ্টি পাথরের স্তম্ভের উপর উড়ন্ত চিলের মোট চারটি স্মারক রয়েছে । ওই চারটি স্তম্ভের দুটি রয়েছে সাদা মসজিদের কাছে আর অন্য দুটি নিউ প্যালেস এলাকায় । এই নিউ প্যালেসের পশ্চিম দিকে অর্থাৎ ভাগীরথীর পাড়ের স্তম্ভটি বছর দুয়েক থেকে হেলে পড়েছে । এতদিন স্থানীয় বাসিন্দারা স্মারকটিকে ভুপতিত না হতে দিয়ে বট গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে টেন বেঁধে রেখেছিলেন । কিন্তু প্রায় ১৬ ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট এবং চার ফিট গোলার্ধের কষ্টি পাথরের স্তম্ভ এবং লোহার উড়ন্ত চিল কে ওই ভাবে আর কত দিন বেঁধে রাখা যায় ।তাই নবাব হুমায়ূন জা নির্মিত হাজারদুয়ারি সমসাময়িক কালের ওই স্মারক টি সংস্কার করতে স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই সোসাইটির পক্ষ থেকেও একাধিকবার পুরাতত্ত্ব বিভাগের কাছে আবেদন করা হয় ।কিন্তু পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না করায় অবশেষে ওই স্মারক সংস্কার ও রক্ষা করতে কাজ শুরু করে দিল মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ অ্যান্ড কালচারাল ডেভলপমেন্ট সোসাইটি ।
আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: শিল্প থেকে আদিবাসীদের সংস্কৃতি, নানান থিমের ভাবনায় সেজে উঠেছে বাঁকুড়া
এদিন জেসিবি দিয়ে স্মারক টি সোজা করা হয় । এরপর ঐতিহাসিক সম্পদ সংস্কারের দক্ষ স্থাপতির পরামর্শে ওই স্মারকের সংস্কারের কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে । উল্লেখ্য এর আগেও ১৯১১ সালে অন্য একটি চিল স্মারক ভেঙে পড়েছিল ,সেটিও সোসাইটির পক্ষ থেকে অবিকল ভাবে সংস্কার করে দেওয়া হয় । এই ব্যাপারে সোসাইটির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন , “ আমরা ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংস্কার করার আগে অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ মেনে কাজ শুরু করি ,এবং যাদের দিয়ে কাজ করান হয় তারা ওই কাজের পারদর্শী ।ফলে ঐতিহাসিক স্থাপত্যের কোন রকম বদল না ঘটিয়েই সংস্কার করা হয় । এক্ষেত্রেও তাই করা হবে ।'
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে