সংক্ষিপ্ত
হ্যান্ডবুক সম্পাদনা করার ফলে জেলার বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে, কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, রাজনীতিবিদ সকলের মধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।সচিত্র এবং ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ ওই বই টি উচ্ছ্বসিত জেলার জেলা শাসক শরদ কুমার দ্বিবেদীও ।
কথায় বলে 'যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে'। সেই প্রবাদ বাক্য কেই এবার প্রমাণ করে দেখালেন খোদ মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার উচ্চ আধিকারিক তথা লালবাগ মহাকুমার মহকুমা শাসক সুদীপ ঘোষ (SDO Sudip Ghosh) স্বয়ং নিজে। রীতিমতো নিজের চরম কর্মব্যস্ততার ফাঁকে নজিরবিহীনভাবে অন্য এক ব্যতিক্রমী ভঙ্গিতে আস্ত একটি সচিত্র ইংরেজি ভাষায় মুর্শিদাবাদের পর্যটন মানচিত্র (Travel Guide) তৈরি করেছেন তিনি।যা দেশি-বিদেশি উভয় পর্যটককে সহযোগিতা করবে। বিদেশি পর্যটকদের কাছে পৌঁছাতে “ টুরিস্ট হ্যান্ড বুক লালবাগ” (Torist Handbook Lalbag) লিখেছেন ইংরাজিতে।
এই ধরনের একটি হ্যান্ডবুক সম্পাদনা করার ফলে জেলার বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে, কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, রাজনীতিবিদ সকলের মধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।সচিত্র এবং ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ ওই বই টি উচ্ছ্বসিত জেলার জেলা শাসক শরদ কুমার দ্বিবেদীও । তিনি বলেন , “ পর্যটক বই টি হাতে পেলে দ্রুত জেলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুভব করবেন ।এছাড়া জেলার পর্যটন মানচিত্র তাদের সামনে স্পষ্ট হবে ।ফলে জেলার পর্যটন বিকাশে ওই বই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে ।”
বছর খানেক আগে লালবাগের মহকুমা শাসক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন সুদীপ ঘোষ । মুর্শিদাবাদে কাজ করতে এসে প্রশাসনিক ব্যস্ততার ফাঁকেই ধিরে ধিরে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সুদীপ বাবু ইতিহাস ও ঐতিহাসিক স্থাপত্যের প্রতি অনুরাগী হয়ে পড়েন । স্বাভাবিক ভাবে প্রাতঃ ভ্রমণে বেরিয়ে হাজারদুয়ারি তো বটেই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন ইতিহাসের নিদর্শন এবং স্থাপত্য গুলো । উৎসাহ ও জানবার ইচ্ছেতে স্থানীয় গবেষকদের সঙ্গেও মুর্শিদাবাদের ইতিহাস নিয়ে আদান প্রদান করতে থাকেন কাজের ফাঁকে ফাঁকে । ফলে তার টেবিলে লক্ষ করা যায় মুর্শিদাবাদের একাধিক বইপত্র ।আর এর থেকেই জন্ম নেই “ টুরিস্ট হ্যান্ডবুক লালবাগ ।”
Killer Mother: ধর্ষণের অপমান, সহ্য করতে না পেরে নাবালিকা মা খুন করল ৪০ দিনের সন্তানকে
Farmer Protest: কৃষি মন্ত্রীর ঘরে ফেরার আর্জি, তারপরেও কৃষক-সরকার টানা পোড়েন অব্যাহত
Covid 19: করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের আতঙ্ক, পরিস্থিতি পর্যালোচনা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের সুবিধার জন্য বইটি লিখা হয়েছে ইংরেজিতে । বই টি তে স্থান পেয়েছে নবাবী আমালের প্রাসাদ ,স্থাপত্য ,শিল্প ,সংস্কৃতি ।সেই সঙ্গে দ্রষ্টব্য স্থান গুলির উৎকৃষ্ট মানের ছবি এবং অত্যন্ত সংক্ষেপে স্থান গুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও পরিচয়। বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও কেন ইতিহাস ও মুর্শিদাবাদের জন্য এই বই প্রকাশ জানতে চাওয়া হলে সুদীপ ঘোষ বলেন , “ প্রথমত এখানে এসে ইতিহাসের উপর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে ।এছাড়া মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্র করে গোটা দেশের ইতিহাস এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আবর্তিত হয়েছে । তাই পর্যটক যাতে এখানে আসার উৎসাহ বোধ করেন এবং সঠিক ভাবে এখানকার ইতিহাস জানতে পারেন ছোট পরিসরে তার একটা রূপরেখা দেওয়া গিয়েছে ওই বইয়ে।এই ধরনের বই সম্পাদনা করতে পেরে একটা আলাদা ধরনের অনুভূতি হচ্ছে নিজের মধ্যে"।
এই ব্যাপারে জেলার ইতিহাস গবেষক বিপ্লব বিশ্বাস বলেন , “ বইটি অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী হয়েছে ।জেলার প্রবেশ মুখে বইটি পর্যটকদের হাতে পৌঁছালে দ্রষ্টব্য স্থান ঘুরে দেখার আগেই সেই সব জায়গা সম্পর্কে এক জন পর্যটকের ধারনা তৈরি হবে"। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এমন একটি অনবদ্য হ্যান্ডবুক এর কথা জানতে পেরে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছে। তারা বলছে,"কে যে এত বড় সহকারী পদের দায়িত্ব সামলাও যে এমন সাবলীলভাবে ইংরেজি ভাষায় বই লিখতে পারে তার সত্যি প্রশংসার দাবিদার"।