সংক্ষিপ্ত
- পুকুরে মিলল ছাত্রীর দেহ
- ২ দিন নিখোঁজ থাকার পর দেহ উদ্ধার
- খুন না আত্মহত্যা, উঠছে প্রশ্ন
- ফোন খারাপ হওয়ায় আত্মহত্যা, অনুমান পুলিশের
গত ১৪ তারিখ সন্ধ্যায় টিউশন পড়তে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বছর ষোলর তৃষা দাস। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে ব্যান্ডেলের কাজিডাঙ্গার সাহেব বাগানের দাস পরিবারে। বাড়ির লোক খোঁজাখুজি করেও কোনও সন্ধান পায়নি দশম শ্রেণির ছাত্রীটির। দু`দিন নিখোঁজ থাকার পর সোমবার সকালে স্থানীয় একটি পুকুরে ভাসতে দেখা যায় দেহ। পুকুর ধারে পড়েছিল তৃষার ব্যাগটিও। এটি খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- সব আত্মঘাতি জঙ্গিই মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষা ব্যবস্থাকেই নিশানা করলেন পাক মন্ত্রী
পরিবারের অভিযোগ তৃষার নিখোঁজ হওয়ার খবর ব্যান্ডেল ফাঁড়িতে জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। যদিও পরিবারের এই অভিযোগ অস্বীকার করছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, আত্মীয়দের বাড়িতে মেয়ের খোঁজ নিতে বলা হয়েছিল প্রথমে, তারপর অভিযোগ জানাতে বলা হয়।
এদিকে কয়েকিদন আগেই তৃষার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি খারাপ হয়। মা হারা তৃষা ফোনটি সারানোর জন্য বাবা ও দিদিকে বারবার অনুরোধ করেও কোনও কাজ হয়নি। সেই কারণেই ছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তৃষার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। সেই রিপোর্ট আসলেই এটা খুন না আত্মহত্যা তা বোঝা যাবে বলে আশাবাদী পুলিশ।