সংক্ষিপ্ত
- বৌভাতের দিনেই মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারে আবদ্ধ হলেন নবদম্পতি
- নদিয়ায়,এই অভিনব প্রয়াসে গর্বিত পরিবারের লোকজন ও এলাকার বাসিন্দারা
- মরণোত্তর দেহদানের সচেতনতা গড়ে তুলতেই উদ্যোগ নেন ওই নবদম্পতি
- উৎসাহিত হয়ে অনুষ্ঠানবাড়িতে উপস্থিত আরও আঠারোজনও দেহদান করেন
বৌভাতের দিনেই মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারে আবদ্ধ হলেন নবদম্পতি। নদিয়ার রানাঘাট পাইকপাড়ার বাসিন্দা রোহান দাস। তাদের এই অভিনব প্রয়াসে গর্বিত পরিবারের লোকজন ও এলাকার বাসিন্দারা। মরণোত্তর দেহদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মানুষের মধ্য়ে সচেতনতা গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেন ওই নবদম্পতি।
আরও পড়ুন, কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে
সূত্রের খবর, পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রোহান বাবুর সঙ্গে গত মঙ্গলবার বিবাহ হয় যাদবপুর নিবাসী অদিতির। গত বৃহস্পতিবার ছিল তাদের বৌভাতের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের মাঝেই মরণোত্তর দেহদান করেন তারা। নবদম্পতির এই উদ্যোগে উৎসাহিত হয়ে অনুষ্ঠানবাড়িতে উপস্থিত আরও আঠারোজনও দেহদান করেন।মরণোত্তর দেহদানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষ যাতে আরো বেশি করে সচেতন হয়,সেকারণেই এই উদ্যোগ বলে জানান নবদম্পতি।
আরও পড়ুন, সময় এসে গেছে, মহিলাদের অস্ত্র তুলে নেওয়ার ডাক লকেটের
কিছুদিন আগেই নদিয়াতেই একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে আরও একটি অভিনব প্রয়াস করে প্রকৃতিকে উৎসর্গ করেছিলেন নবদম্পতি। প্লাস্টিক বর্জন ও বৃক্ষ রোপন এর বার্তা নিয়ে পরিবেশ বিষয়ে সচেতনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন নদিয়ার নাকাশিপাড়ার এক দম্পতি। এই ঘটনায় রীতিমত খুশিও ছিল আমন্ত্রিতরা। অনেককেই পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে নতুন করে দিশা খুঁজে দিয়েছেন ওই নব-দম্পতি। নাকাশিপাড়া থানার বেথুয়াডহরি বাদল দত্ত কলোনির বাসিন্দা পেশায় হাই মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষক চঞ্চল কুমার নাগ ও তার স্ত্রী সুলগ্না কাজরির বৌভাতের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানেই শুভ প্রয়াসটা সেরে ফেলেন।সদ্য বিবাহিত নব দম্পতি তাদের এই অনুষ্ঠানে আগত সকল প্রায় ৫০০জন নিমন্ত্রিত এর হাতে বিভিন্ন গাছের চারা তুলে দেন।পাশাপাশি বৌ ভাতের তত্ত্ব থেকে শুরু করে খাওয়ার সরঞ্জাম সব জায়গাতেই ছিল প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা। দম্পতির এহেন সামাজিক উদ্যোগে খুশী দম্পতির পরিবার ও অতিথিরা।
আরও পড়ুন, জলঙ্গি গুলিবর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়, গ্রেফতার তৃণমূল ব্লক সভাপতির ভাই