সংক্ষিপ্ত
- এক আজব ভোজ বাড়ির সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ
- কোনও রকমের নিমন্ত্রণপত্র ছাড়াই ভিন্ন ধর্মে বিয়ে
- ছেলের বাড়ি মানলেও মানেনি মেয়ের পরিবার
- শুভ অনুষ্ঠানে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের বিয়ে বাড়ির ভোজ
এক আজব ভোজ বাড়ির সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ। কোনও রকমের নিমন্ত্রণপত্র ছাড়াই রীতিমতো ভিন্ন ধর্মে বিয়ে হল প্রেমিক প্রেমিকার। সব থেকে অবাক করা বিষয়, শুভ অনুষ্ঠানে পরিবারের কেউ অংশগ্রহণ না করায় প্রাথমিকের পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের পরিবর্তে বিয়ে বাড়ির ভোজ খাওয়াল নব দম্পতি।
কেটে গেল জট, ১ মার্চ শহিদ মিনারে সভা অমিত শাহের
দম্পতির এহেন অভিনব আয়োজনে খুশি বিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর এই অভিনব উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাতে দম্পতিদের হাতে কোরান আর গীতা দিয়ে আশীর্বাদ করলেন স্থানীয় একটি সংগঠনের সদস্যরা। কলেজের নবীন বরণ উৎসবে প্রথম দেখা বাপন ও রেহেনার । সেই থেকেই প্রেম। দীর্ঘ আট বছর প্রেমকে পূর্ণতা দিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা । বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শে সরকারি নিয়ম মেনে বাপন –রেহেনার বিয়ে হলে বাপনের বাড়ির লোক রেহেনাকে গৃহবধূ হিসেবে বাড়িতে বরণ করে নেন । কিন্তু এখন পর্যন্ত রেহেনার বাড়ির লোক মানতে পারেননি এই বিয়ে।
মোদীর ইচ্ছায় 'বাগড়া মমতার', টাকা থেকে বঞ্চিত ১০ লক্ষ কৃষক
ফলে জিয়াগঞ্জ থানার আজিমগঞ্জ জৈন পট্টির বাসিন্দা বাপনের যাওয়া হয়নি রানিতলা থানার আখেরিগঞ্জ জাফরের মোড়ের বাসিন্দা রেহেনাদের বাড়িতে । বিয়ে হল, কিন্তু কোনও অনুষ্ঠান হবে না ,তাই কখনও হয় নাকি । একথা ভেবে দুই দম্পতি ঠিক করেন তারা আজিমগঞ্জ এলাকার দুটি বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের পরিবর্তে এক দিন নিজেদের মতো করে খাওয়াবেন । সেই মতো বিদ্যালয়ের অনুমতি নিয়ে দুপুরে খুদেদের পাতে উঠে এল ভেজিটেবল চপ থেকে পোলাও , আলুর দম , কষা মাংস , রসগোল্লা । শেষ পাতে ছিল ফ্রুটস চাটনি ও অবশ্যই পাঁপড় । মিড ডে মিলের এক ঘেয়ে খাবারের পরিবর্তে এই রকম ভোজের থালা পেয়ে ভীষণ খুশি রাই বুধ সিং প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গুড়িপাড়া জি এস এস পি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা পড়ুয়ারা ।
এই ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিখা রায় চক্রবর্তী বলেন , ওই দম্পতি বউভাতের বিশাল আয়োজন করেনি, বরং বিদ্যালয়ের কচিকাচাদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠতে চেয়েছে। এটি সত্যিই একটি অনন্য নজির হয়ে থাকল । অন্যদিকে রেহেনা ওরফে সুমি দত্ত বলেন , বড়দের মধ্যে বিভাজন আছে ,কিন্তু ছোটরা অর্থাৎ শিশুরা ঈশ্বরের মতো তাই আমরা ওদের মধ্যে আনন্দ খুঁজে নিতে এই আয়োজন করেছি ।
মেয়াদ ফুরোচ্ছে বাংলার ৫ সাংসদের, ২৬ মার্চ রাজ্যসভার ভো
বাপন ও সুমির অভিনব এই আয়োজনের সাক্ষী থেকেছেন আজিমগঞ্জ রিভাইব ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামের একটি সংগঠন । তারাও নব দম্পতি কে আশীর্বাদ করেছেন তাদের হাতে কোরান আর গীতা তুলে দিয়ে । কোরান পেয়ে বাপন বলেছেন , ইসলাম শান্তির কথা বলে ,শুনেছে সেই সব লিপি বদ্ধ আছে কোরানে ।এখন কোরান পড়ে তার মর্ম উপলদ্ধি করা আমার প্রথম কাজ । আর গীতা পেয়ে সুমি বলেন , গীতা আমার পরম প্রাপ্তি , গীতার সারমর্ম সমাজের মাঝে তুলে ধরতে চাই ।