সংক্ষিপ্ত
- দুর্গা পূজার আনন্দে মাতোয়ারা নদিয়ার নাকাশিপাড়া
- অতীতে বছরের বেশির ভাগ সময় জলমগ্ন থাকত এই এলাকা
- পুজো করা তো দুরস্ত নিজেদের টিকে থাকাটাই ছিল কঠিন লড়াই
- শরৎকালের শারদীয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতো এলাকার মানুষজন
'অসময়ে' দুর্গা পূজার আনন্দে মাতোয়ারা নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার ম্যাচপোতা। অতীতে বছরের বেশির ভাগ সময় জলমগ্ন থাকত এই বিস্তীর্ণ এলাকা। পুজো করা তো দুরস্ত নিজেদের টিকে থাকাটাই ছিল কঠিন লড়াই। তাই শরৎকালের শারদীয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতো এলাকার মানুষজন। হতাশা দূর করতে বিধির বিধান মেনে আনুমানিক ৩২০ বছর আগে এই গ্রামে শুরু হয় গণেশ জননী উৎসব। যা কিনা দেবী দুর্গার অপর রূপ।
'আমি স্তম্ভিত', মোদী সরকারের বাজেটে কড়া প্রতিক্রিয়া মমতার
গণেশের জননী মা দুর্গাকে দেবী হিসেবে পূজা শুরুর পর থেকেই এই রীতি চলতে থাকে। এই গ্রামে এখানে দেবী দুর্গার দশ হাতের জায়গায় দুই হাত। লক্ষ্মী,সরস্বতী,কার্তিক এদের কারও মূর্তি থাকে না দেবীর পাশে । এখানে মা দুর্গার কোলে গণেশের স্থান মানে তিনি গণেশের জননী আর ডানে বামে থাকেন জয়া-বিজয়া। দুর্গাপুজোর রীতি মেনে চারদিনের পুঁজো।
সন্ধের পর হিমেল হাওয়া শহরে, সামনের সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা
সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী এই কদিন সব ফেলে গ্রামে আসেন বাইরের আত্মীয়-পরিজন। পুজোর কদিন বাউল গান,কবি গান,যাত্রাপালা আতসবাজি সবকিছুই হয় এই পুঁজো মণ্ডপে। পুজোর ক' দিন হিন্দু-মুসলিম জাতিভেদ প্রথা ভুলে সকলেই মিলেই আনন্দে মেতে ওঠেন। পুজোর চারটি দিন মেলার পরিবেশ তৈরি হয় এলাকায়। প্রতি বছর স্থানীয়রা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে এই গণেশ জননী পুজোর জন্য।