সংক্ষিপ্ত
- থানায় ঢুকে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি
- ডিউটি অফিসারকে হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ
- গ্রেফতার প্রভাবশালী ওই নেতার নাম ওয়াইদুর রহমান
- পুলিশকে মারধরের অভিযোগে জেল হেফাজত
থানায় ঢুকে তৃণমূল নেতার দাদাগিরিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মুর্শিদাবাদারে জঙ্গিপুরে। ডিউটি অফিসারকে হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার প্রভাবশালী ওই নেতার নাম ওয়াইদুর রহমান। পুলিশকে মারধরের অভিযোগে প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের বিচারক।
সূত্রের খবর, থানার মধ্যেই সালিশি সভা বসাতে চেয়েছিলেন ওই তৃণমূলের নেতা। সুতি থানার ভিতরে সালিশি সভা বসানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন অফিসাররা। তাসত্ত্বেও বার বার পুলিশ আধিকারিকদের ওপর চাপ দিতে থাকেন ওয়াইদুর। এর তীব্র প্রতিবাদ করেন থানার ওসি সন্দীপ সেন ও বাকি অফিসারেরা। এতেই আগুনে ঘি পড়ে। তৃণমূল নেতা ওয়াইদুর রহমান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মেজাজ হারিয়ে থানার অফিসার ও পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান তাঁরা। পরে তা হাতাহাতিতে বদলে যায়।
তখনই ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে সুতি থানার পুলিশ। রবিবার তাকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। শেষ পাওয়া খবরে জানা যায় বিচারক অভিযুক্তর জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। তাকে ১৬নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও এই পুরো ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। আদালত চত্বরে তিনি বলেন,'আমাকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। আদতে আমি এলাকায় তোলাবাজির প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই পুলিশ আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যে অভিযোগ করছে। উল্টে তারাই আমাকে পুলিশ লক আপে আটকে বেধড়ক পিটিয়েছে।' এই বিষয়ে থানার ওসি সন্দীপ সেন জানান,'যা ঘটনা ঘটেছে সেইমতো যাবতীয় তথ্য কোর্টে পেশ করেছে পুলিশ।'