সংক্ষিপ্ত
জিটি রোডের ধারে মুখ বন্ধ বস্তা পড়ে থাকতে দেখে ভিড় করেন এলাকার বাসিন্দারা। বস্তার ভেতরে কী থাকতে পারে, সেই সন্দেহেই জল্পনা দানা বাধঁছিল, কাছে যেতেই সেই বস্তা নড়েচড়ে ওঠাতে কয়েক হাত পিছিয়ে যায় কৌতূহলী জনতার ভিড়।
রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বস্তা দেখে সন্দেহ, সেখান থেকেই শুরু শোরগোল। স্থানীয় বাসিন্দা বা পথচলতি জনতারা ভেবেছিলেন ভেতরে থাকতে পারে মানুষের লাশ। কিন্তু, কিছুক্ষণ পর থেকেই নড়তে শুরু করল বন্ধ বস্তা!
শনিবার রাত ৯টা নাগাদ চুঁচুড়ার প্রিয়নগর এলাকায় জিটি রোডের ধারে এই ঘটনায় প্রচণ্ড চাঞ্চল্য ছড়ায়। জিটি রোডের ধারে মুখ বন্ধ বস্তা পড়ে থাকতে দেখে ভিড় করেন এলাকার বাসিন্দারা। বস্তার ভেতরে কী থাকতে পারে, সেই সন্দেহেই জল্পনা দানা বাধঁছিল, কাছে যেতেই সেই বস্তা নড়েচড়ে ওঠাতে কয়েক হাত পিছিয়ে যায় কৌতূহলী জনতার ভিড়। কোনও কোনও উত্তেজিত ব্যক্তি সাহস করে বস্তায় টান মারতেই অবাক কাণ্ড! ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন একমাথা সাদা চুলের এক বৃদ্ধা।
স্বাভাবিকভাবেই ওই বৃদ্ধাকে বস্তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখে প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত পথচারীরা। আশ্চর্যের ব্যাপার হল, সবাই মিলে যখন তাঁকে বস্তা থেকে বের করার চেষ্টা করেন, তখন তিনি বস্তার মধ্যেই পা ঢুকিয়ে রাস্তায় বসে থাকেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়া থানার মহিলা পুলিশকর্মী রাখি ঘোষের ছেলে প্রদীপ্ত ঘোষ। তিনি রাখি ঘোষকে ফোন করে পুরো ঘটনাটি জানান এবং ওই বৃদ্ধাকে একটি কেক কিনে দেন।
সেসময়ে থানাতেই ডিউটিতে ছিলেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। তিনি ছেলের ফোন পেয়ে থানার বড়বাবুকে ঘটনাটি জানান। বড়বাবু তাঁকে তৎক্ষণাৎ গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দেন। এক মহিলা পুলিশকর্মীকে নিয়ে রাখি ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেন।
ঘটনাস্থলে তখন চূড়ান্ত ভিড়, সেই অদ্ভুত কাণ্ড দেখতে জড়ো হয়ে গিয়েছে প্রচুর লোকজন। দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া ওই বৃদ্ধা তখনও বস্তার মধ্যে পা ঢুকিয়ে বসে আছেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বোঝা যায় যে তিনি হিন্দিভাষী। অল্প কিছু উত্তরে ওই বৃদ্ধা জানান, তাঁর বাড়ি অশোকনগরে। নাম অন্নু কুমারী। ট্রেনের করেই তাঁকে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু কে, কী ভাবে তাঁকে নিয়ে এল বা চুঁচুড়ায় ফেলে দিয়ে গেল, তা তিনি সবিস্তারে কিছু বলতে পারেননি। তাঁর কথাবার্তাও কিছুটা অসংলগ্ন ছিল। বাড়িতে কেউ আছেন কি না, তা-ও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি ওই বৃদ্ধা। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাঁর বাড়ির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-
হৃদযন্ত্র থেমে গেলও শত শত শিশুদের হৃদয়ে রয়ে যাবেন কেকে, উদ্যোগী ‘হৃদয়া’
“দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি”, সাংবাদিকদের মাধ্যমে তৃণমূলকেই বার্তা দিলেন পার্থ?
রাজীব গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে টুইটারে তাঁর পাইলট লাইসেন্সের ছবি শেয়ার করলেন শশী থারুর