সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি ওই শিশু আবু ধাবি থেকে ভারতে এসেছিল। আবু ধাবি থেকে প্রথমে তার পরিবার আসে হায়দরাবাদে। হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে নামার পর ওই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের করোনা পরীক্ষা করা হয়।

দুবাই ফেরত সাত বছরের শিশুর দেহে ওমিক্রন ভাইরাসের(Omicron virus) উপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের কালিয়াচকে(Kaliachak of Malda)। বুধবার ওই শিশুটি কালিয়াচকে তার মামার বাড়িতে আসতেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিম সেখানে পৌঁছায়। বুধবার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের(District Health Department) পক্ষ থেকে সংক্রামিত শিশু তার বাবা ও দিদিকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(Malda Medical College Hospital) করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে শিশুটিকে। শিশুটির বাবা ও বোনকে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা বিভাগে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডে(quarantine ward) রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে শিশুটি ছাড়াও তার মা, বাবা, দিদি সমেত মোট ছজনের লালার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে বলে খবর।

এদিকে শিশুটির আসল বাড়ি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা(Farakka of Murshidabad) থানার বেনিয়াগ্রামে। কিন্তু বর্তমানে সে মালদহের কালিয়াচক এলাকায় তার মামার বাড়িতে ছিল বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই শিশু আবু ধাবি থেকে ভারতে এসেছিল। আবু ধাবি থেকে প্রথমে তার পরিবার আসে হায়দরাবাদে। হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে নামার পর ওই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে বাবা-মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তবে শিশুর নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। স্পষ্ট ওই ওই শিশুর শরীরে বাড়তে শুরু করেছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তারপরই তড়িঘড়ি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সে কথা জানানো হয় তেলেঙ্গানা সরকারের তরফে।

আরও পড়ুন-পথে বাধা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, আগামী কয়েকদিনে আদৌও কী জাঁকিয়ে পড়বে শীত

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ৭৭ টি দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা ভাগেই জানিয়েছেন যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে। তবে করোনা অন্যান্য সমস্ত ভেরিয়েন্টের মধ্যে যে এটিই সবথেকে বেশি প্রাণঘাতী তা স্বীকার করছেন সকলেই। এমনকী উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এদিকে তেলেঙ্গানা থেকে এই দুঃসংবাদ পেয়ে ঘুম ছুটে যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিদেরও। প্রথমে জানা হয় শিশুটির নির্দিষ্ট অবস্থান। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ মহল থেকে খবর পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে মালদহ জেলা স্বাস্থ্য দফতরও। সাড়া পড়ে যায় চারদিকে। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ওই শিশুকে কী ভাবে তার পরিবার এতটা পথ নিয়ে এল, সেই প্রশ্ন উঠছে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ওমিক্রন পজিটিভ শিশু কী ভাবে ফরাক্কা পৌঁছল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।