সংক্ষিপ্ত
রাজ্যে বেড়ে গিয়েছিল করোনার সংক্রমণ। সেই কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই একাধিক হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছিল। করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটিকেও সাধারণ হাসপাতাল থেকে করোনা হাসপাতালে পরিবর্তন করা হয়েছিল।
বাঁকুড়া জেলার একমাত্র করোনা হাসপাতাল ছিল ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। শুধু বাঁকুড়া জেলা নয় পুরুলিয়া, মেদিনীপুর ও বর্ধমানেরও বাসিন্দারাও এই হাসপাতালের উপর নির্ভর করত। কিন্তু, এই মুহূর্তে শহরে করোনা রোগীর সংখ্যা খুবই কম। সেই কারণে এই হাসপাতালে করোনা রোগীর ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশে। এর ফলে এবার থেকে এই হাসপাতালকে আবার আগের পর্যায়ে অর্থাৎ সাধারণ হাসপাতালে পরিণত করা হবে। ফের এই হাসপাতালে চালু হবে বিভিন্ন বিভাগের ইনডোর ও আউটডোর পরিষেবা।
রাজ্যে বেড়ে গিয়েছিল করোনার সংক্রমণ। সেই কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই একাধিক হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছিল। করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটিকেও সাধারণ হাসপাতাল থেকে করোনা হাসপাতালে পরিবর্তন করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে করোনা রোগী ভর্তির জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল এই হাসপাতাল। পরিকাঠামো সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছিল সিসিইউ সহ ২৫০ এর বেশি করোনা রোগী ভর্তির বেড। ওই বছরের মে মাস থেকে হাসপাতালে করোনা রোগীর ভর্তি ও চিকিৎসা সেখানে শুরু করা হয়েছিল।
শুধু বাঁকুড়া জেলা নয় আশপাশের জেলাগুলি থেকেও কোভিড পজিটিভ রোগী ভর্তি শুরু করে এই হাসপাতালে। ১৮ মাস ধরে এই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ৫ হাজারের বেশি করোনা রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে তিনশোর অধিক রোগী। ধীরে ধীরে নিউ নর্মালে এই মুহূর্তে হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তির চাপ এখন কম।
অক্টোবর মাস থেকেই এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি একেবারে কমে গিয়েছে। নভেম্বরে আরও কমে যায় এবং ডিসেম্বরে হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা একেবারে শূন্য। কোভিড রোগীর চাপ নেই, তেমন কোনও রোগী ভর্তিও নেই। তাই এত বড় মাপের একটা পরিকাঠামোকে শুধু কোভিডের জন্য না রেখে কোভিড রোগী ভর্তি বন্ধ করে সাধারণ চিকিৎসার জন্য ইনডোর ও আউটডোর বিভাগ চালু করতে চলেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেহেতু কোভিড রোগীর চাপ নেই তাই হাসপাতালে আগের মতো সাধারণ বিভাগ চালু করে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করা হবে। ২০ ডিসেম্বর থেকে করোনা রোগী ভর্তি বন্ধ হচ্ছে এই হাসপাতালে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, আগামী দিনে কোভিড পরিস্থিতি জটিল হলে রোগীর চাপ বাড়লে ৩ দিনের মধ্যে এই হাসপাতালকে ফের করোনা হাসপাতালে পরিণত করা হবে। আর সরকারি নির্দেশিকা আসার পরই হাসপাতালে সাধারণ রোগী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এর জেরে বেজায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।