সংক্ষিপ্ত
প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে সজোরে লাথি। সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা পরেশ পালের দাবি, তিনি আক্রান্তদের কাউকে চেনেনই না।
প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে সজোরে লাথি। কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল সহ স্থানীয় কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার ও তাঁদের অনুগামীরা। আক্রান্ত মহিলার পরিস্থিতি সংকটজনক। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা পরেশ পাল।
নারকেলডাঙার বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস। তাঁর দাবি, প্রোমোটিংয়ের বিষয়ে কথা বলতে তাঁদের ডেকেছিলেন বিধায়ক পরেশ পাল ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার। বিধায়কের অনুগামী বলে পরিচয় দিয়ে কয়েক জন ছেলে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে যায়। তবে বিধায়ক বা কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করতে যেতে রাজি হননি শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলে দীপক দাস।
এরপরেই ঘটে সর্বনাশ! তাঁদের বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ ও শাসকদলের কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ কয়েকশো যুবক তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে শিবশঙ্কর দাসের ছেলে দীপক দাসকে বেধড়ক মারধর করা হয়। প্রাণ বাঁচিয়ে কোনওমতে দৌড়ে পালিয়ে থানায় গিয়ে নালিশ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে দাবি। উলটে শিবশঙ্কর ও তাঁর ছেলেকেই গ্রেফতার করে নেয় পুলিশ। কোর্ট থেকে জামিন নিতে হয় তাঁদের।
শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলের অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এমনকী দীপক দাসের ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথিও মারা হয় বলে অভিযোগ। প্রবল আঘাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। দীপকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বিধায়ক পরেশ পাল ও স্থানীয় কাউন্সিলরের নির্দেশে তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা পরেশ পাল। তাঁর দাবি, তিনি শিবশঙ্কর দাস নামে কাউকে চেনেনই না। অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশকেই যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন পরেশবাবু। অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, তিনি কাউকেই ডেকে পাঠাননি। তাঁর নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এই গন্ডগোল শরিকি বিবাদের জেরেো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কাউন্সিলর।
এই গুরুতর অভিযোগে এলাকায় সোচ্চার বিজেপি। আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিজেপি নেতানেত্রীরা। বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী ও অন্য নেতারা আক্রান্ত মহিলাকে দেখে এসেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি মহিলা মোর্চা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তবে, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই ঘটনায় মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
শুভেন্দুর এলাকায় তৃণমূলের জয়জয়কার, সমবায় ভোটে খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি
পুরভোটে রক্তাক্ত আসানসোল, তৃণমূল বনাম বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ
‘ঠ্যাং ভেঙে দেবো’, হাবড়ায় হুমকি দিয়ে তরুণীকে মেরে রক্তারক্তি ঘটিয়ে দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামী