সংক্ষিপ্ত
শান্তিনিকেতনের বাড়ির নাম 'অপা'। অনেকেই মনে করেছিলেন অর্পিতা আর পার্থ নিজেদের নামের সঙ্গে মিলিয়েই বাড়ির নাম রেখেছিলেন। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢালল সরকারি আধিকারিকরা।
শান্তিনিকেতনের ১০ কাঠা জমির ওপর তৈরি বাগান বাড়ির মালিক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন। তেমনই জানিয়েছেন বীরভূমের বোলপুর ভূমি ও ভূমি রাজস্ব অধিকারিকরা। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে রাশি রাশি টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই সামনে এসেছিলেন বীরভূমের এই বিশাল সম্পত্তির কথা। বাড়ির নাম দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল বাড়িতে পার্থ আর অর্পিতার যৌথ সম্পত্তির তালিকার মধ্যেই পড়ে। কারণ তদন্তকারী সংস্থার অধিকারিকদের অনুমান পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যৌথ সম্পত্তি রয়েছে। আর সেই কারণেই শান্তিনিকেতনের বিশাল সম্পত্তি নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা।
শান্তিনিকেতনের বাড়ির নাম 'অপা'। অনেকেই মনে করেছিলেন অর্পিতা আর পার্থ নিজেদের নামের সঙ্গে মিলিয়েই বাড়ির নাম রেখেছিলেন। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢালল সরকারি আধিকারিকরা।
যাইহোক বোলপুরের ভূমি রাজস্ব দফতরের জানিয়েছে ২০২০ সালে ১০ কাঠা জমির ওপর ওই বাগানবাড়িটির মিউটৈশন হয়। প্রান্তিকের ফুলডাঙায় এই বিশাল সম্পত্তি কেনা হয়েছিল ২০১২ সালে। ০.১৭ একর বা ১০ কাঠা জমিরর এই সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে অর্পিতার নামে। তবে এই বাড়ির দলিলে কোথাও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নেই। সূত্রের খবর কলকাতার বাসিন্দা সুষেণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেই এই সম্পত্তি কেনা হয়েছিল।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর সূত্রের খবর, পার্থ আর অর্পিতাকে মুখোখুমি জেরা করা হয়েছে। সেই সময়ই টিভির স্ক্রিন জুড়ে টাকার পাহাড়ের ছবিও তাদের দেখান হয়। যা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। একটা সময় তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, 'স্যার এতো টাকা আমার বাড়িতে রাখা হয়েছিল?' এডি সূত্রের খবর তারপরই অর্পিতা তদন্তকারী আধিকারিকদের দিকে তাকিয়ে বলেন, 'স্যার, আমার নামে সম্পত্তি কোম্পানি রয়েছে। কিন্ত আসলে আমি কোনওটারই মালিক নই। আমি একজন বেতনভুক কর্মীমাত্র।' এই সময়টাও নাকি চুপ করে ছিলেন পার্থ। তিনি আরও বলেন তিনি এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির কেয়ারটেকার । তিনি আরও বলেন, 'এত টাকার কথা আমি জানতাম না। বিশ্বাস করুন!' তিনি আরও বলেন, 'এই এত পরিমাণ টাকাতে হাত দেওয়ার অধিকার ছিল না আমার। গয়নাতেও হাত দেওয়ার অধিকার ছিল না।' এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানিয়েছে, টালিগঞ্জ আর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর গয়না ও প্রচুর নথি।
আরও পড়ুনঃ
'সময় বলবে', জোকা হাসপাতাল থেকে বারিয়ে তোপ পার্থর, 'আর পারছি না ' বললেন অর্পিতা
অর্পিতার নামে ৬টি সংস্থার খোঁজ, ৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি