সংক্ষিপ্ত
সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেছে। পুরনো এমন অনেক ছবি রয়েছে যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই দলীয় বিষয় নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে একান্ত আলোচনা করতেও দেখা গেছে। যাই হোক সেসব এখন অতীত।
তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জীবনের শুরুর দিকে তিনি কংগ্রেস করতেন। অ্যান্ড্রুহুইলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তারপর ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী ছিলেন। মোটাসোটা শরীরে সাদা পাজামা আর লম্বা সজুব , হলুদের মত রংবাহারে পাঞ্জাবীতেই তাঁরে সচারচর দেখা যেত। সাদা পাঞ্জাবীও পরতেন। তবে তা খুব হাতেগোনা সময়। রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা থেকে মন্ত্রী হয়ে ওঠার যাত্রাপথ ছিল খুবই মসৃণ। একটা সময় 'পার্থ দা'র ওপর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আস্থা ছিল।
সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেছে। পুরনো এমন অনেক ছবি রয়েছে যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই দলীয় বিষয় নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে একান্ত আলোচনা করতেও দেখা গেছে। যাই হোক সেসব এখন অতীত। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে ছেঁটে ফেলে মমতা জানিয়েছেন, 'পার্থদার কাছে যে দফতগুলো ছিল সেগুলো থেকে রিলিভড করা হয়েছে, এখন ওই দফতরগুলো আমার কাছে চলে এসেছে, পার্থ-র কাছে যে দফতরগুলো ছিল এখন সেগুলো আমার কাছে, আমি তো আর কিছু করবো না, দেখছি, কাউকে বন্টন করা হবে।' শোনা যাচ্ছে পুরো মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজাতে পারেন মমতা।
যাইহোক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিশ্বস্ত দলীয় নেতাদের মধ্যে পার্থর নাম ছিল। তিনি ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম ও শেষ বিরোধী দলনেতা। বেহালা পূর্বে যেমন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজ ছিল তেমনই বেহালা পশ্চিমের দীর্ঘ দিনের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মমতা ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
সেখান থেকেই পরিষদীয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সেই অভিজ্ঞতা তিনি কাজে লাগিয়েছেন তিন দফায় পরিষদীয় মন্ত্রী থাকাকালীন। কারণ ২০১১ সাল থেকে তিনি পরিষদীয় মন্ত্রী। প্রথম দফায় তাঁর হাতে ছিল শিল্প দফতর। দ্বিতীয় দফায় তাঁকে দেওয়া হয় শিক্ষা দফতর। তারপর তৃতীয় দফায় শিক্ষা থেকে শিল্প, তথ্য প্রযুক্ত ও পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের নাম। একাধারে তিনি রয়েছেন দলের মহাসচিব। অন্যদিকে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিরও সদস্য তিনি। সূত্রের খবর সেখান থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। কারণ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পোস্ট অনুযায়ী শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন অভিষেক। সেখানে পার্থ ইস্যুতে কথা হতে পারে। যার অর্থ বৃহস্পতিবারেই সব হারাতে চলেছেন পার্থ। যদিও ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই পার্থ বলেছিলেন, 'মান সম্মান সব গেল!'
'আমার সঙ্গে কথা বলবেন না', লোকসভাতে ৩ মিনিট ধরে 'ঝগড়া' সনিয়া-স্মৃতির
'অনুপ্রেরণা কোথা থেকে আসছে?', মিছিল থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুকে মমতাকে কটাক্ষ বিজেপির
দলীয় পদও খোয়াবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? কুণালের পোস্টের পর জল্পনা উস্কে তৃণমূলের বৈঠক ডাকলেন অভিষেক