সংক্ষিপ্ত
বর্তমানে তিনি বন্দি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। দলের কোনও কার্যক্ষমতাই এখন তাঁর নেই। তাই এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধানসভা কমিটির সদস্য পদ থেকেও বাদ দিতে পারে তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিত্ব পদের সঙ্গে হারিয়েছিলেন তৃণমূলের দলীয় পদও। এ বার বিধানসভা কমিটির সদস্য পদ থেকেও বাদ পড়তে পারেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বিধানসভার তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফ থেকে।
এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দলীয় সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে, তাঁকে বাদ দিয়ে দেওয়ার কারণ, বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন এবং নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদিও আর পশ্চিমবঙ্গ মন্ত্রিসভার মন্ত্রী নন, তবুও এখনও পর্যন্ত তিনি রাজ্য বিধানসভার একজন বিধায়ক। তৃণমূলের আর এক বিধায়ক ড. নির্মল ঘোষ এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে জেলে বন্দি রয়েছেন। তাই তাঁকে রাজ্য বিধানসভার কমিটির সদস্য করে কোনও লাভ নেই। তাই সংসদীয় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আপাতত তাঁকে কোনও কমিটির সদস্যপদ দেওয়া হবে না।”
এবিষয়ে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পক্ষ থেকে বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
২০২২ সালের ২৩শে জুলাই পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা সাসপেন্ডেড তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হন। তাঁকে কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যের সংসদীয় ও তৎকালীন শিল্পমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করে রাজ্য সরকার। ২৮ জুলাই তাকে সমস্ত দলীয় পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিধানসভার নিয়ম অনুসারে, যে কোনও বিধায়ককে ২টি কমিটি, ১টি বিভাগীয় স্থায়ী কমিটি এবং বিধানসভার ১টি কমিটির সদস্যপদ দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনকে পরাজিত করে ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সেই ২০১১ সাল থেকেই রাজ্যের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ বিধানসভা কমিটির সদস্য পদ থেকেও তাঁর বহিষ্কার যে রাজ্যের শাসক মহলের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়, তা স্বীকার করছে বিরোধী গোষ্ঠীগুলিও।
আরও পড়ুন-
সইফ অমৃতার বিচ্ছেদের দুঃখ কতটা ভেঙে দিয়েছিল সারা আর ইব্রাহিমকে?
“দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি”, সাংবাদিকদের মাধ্যমে তৃণমূলকেই বার্তা দিলেন পার্থ?
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ‘ক্যান্সার’-এর সঙ্গে তুলনা, বেনজির আক্রমণ তৃণমূলেরই পুরপ্রধানের