সংক্ষিপ্ত

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতেই নিজেদের জয় দেখছে বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য আসন পাওয়া সিপিএম। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন বাম আমলের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে।

রাতভর জেরার পর গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। প্রাক্তন এই নায়িকার বাড়়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। অর্পিতা জানিয়েছেন এই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর কাছে গচ্ছিত রেখেছিলেন। যাইহোক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতেই নিজেদের জয় দেখছে বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য আসন পাওয়া সিপিএম। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন বাম আমলের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে। কারণ ইনিও পার্থ আর তিনিও পার্থ। দুজনেই আবার শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু দুজনের ফারাক বিস্তর। 

বাম আমলের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে - এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নীরব থেকেছেন। ২০০৬ -২০১১ সাল পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। জ্যোতি বসুর আমনের বিধায়ক। আর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর আমলেও হয়েছে স্কুল শিক্ষক নিয়োগের একাধিক পরীক্ষা। চাকরিও পেয়েছেন প্রচুর মানুষ।  কিন্তু কখনই ওঠেনি দুর্ণীতির অভিযোগ। শিক্ষকের চাকরি জন্য দিনের পর দিন ধর্না, পুলিশের লাঠিপেটা খাওয়া - এই ছবি দেখা যেত না। আর টাকার বিনিময় চাকরি- সেতো দূরঅস্ত। নিপাট শান্ত দেখতে পার্থ দে - নিজের দুধ সাদা পাজামা পাঞ্জাবিতে কখনও কোনও কালির দাগ লাগতে দেননি। দুর্ণীতি বা স্ক্যাম থেকে দূরে রেখেছিলেন। বাম আমল শেষ। ক্ষমতাও হারিয়েছে তাঁর। কিছুটা অন্তরালেই চলে গেছেন পার্থ দে। কিন্তু দলের একনিষ্ট কর্মী হিসেবে এখনও লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যাননি। তাই হয়তো তাঁর উত্তরসুরীর এই পরিণতি দেখে তিনি ভ্রু কুঁচকে হেসেছেন। কিন্তু তা ধরা পড়েনি কোনও মিডিয়ার ক্যামেরায়। কারণ কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। সিপিএম-এর তরফ থেকে সুজন চক্রবর্তী সাংবাদিক সম্মেলন করলেও পার্থ দে কিন্তু নীরব । 

যাইহোক পার্থ দের উত্তরসূরী কিন্তু সর্বদাই আলাদা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দোষী কি নির্দোষ তা প্রমাণ করার দায়িত্ব আদালতের। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্ণীতি হয়েছে তা কিন্তু চাকরি প্রার্থীরাই বলছেন। যার কিছুটা প্রমাণ  ইতিমধ্যেই হয়েছে। কারণ চাকরি গেছে মন্ত্রীকন্যার। আর সেটা হয়েছে তাঁর আমলে। দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে তিনি কিছুতেই সেই দায়িত্ব ত্যাগ করতে পারেন না। আর অন্যদিকে দীর্ঘ দিনের বিধায়ক আর মন্ত্রী হয়েও এখনও বাঁকুড়ার জরাজীর্ণ বাড়িকে সঙ্গী করেই দিন কাটাচ্ছেন বামেদের পার্থ দে। এখনও তাঁর সাদা পাজামা- পাঞ্জাবী ধপ ধপে সাদাই রয়েছে।

'আমার কথা শুনলে বিয়ে দিয়ে দিতাম', মেয়েকে নিয়ে আপেক্ষ অর্পিতার মায়ের

শিক্ষক পদপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান
'সারদা কর্তার চিঠির পরেও গ্রেফতারি নয় কেন?' নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা তৃণমূলের