সংক্ষিপ্ত

  • পুরুলিয়ায় এসেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
  • রাত কাটিয়েছিলেন নীলকণ্ঠ নিবাস-এ
  • ঐতিহাসিক সেই বাড়িতে পালিত হল নেতাজির জন্মজয়ন্তী
  • বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি স্থানীয়দের

বুদ্ধদেব পাত্র, সংবাদদাতা- গোটা দেশজুড়ে মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে তাঁর জন্মদিন। কিন্তু বাংলায় নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত বাড়ির কোনও কদর নেই! পুরুলিয়ার 'নীলকণ্ঠ নিবাস' প্রশাসনিকভাবে আজও ব্রাত্যই থেকে গিয়েছেন। বাড়িটি অবিলম্বে হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরসূরীরা।

পুরুলিয়া পুরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়। পুরুলিয়া শহরের নমোপাড়ায় যে বাড়িতে তিনি থাকতেন, সেই বাড়িটির নাম 'নীলকণ্ঠ নিবাস'। পরাধীন ভারতে আইনজীবী হিসেবে যথেষ্ট নামডাক ছিল নীলকণ্ঠের। তাঁর আমন্ত্রণেই পুরুলিয়ায় এসেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। যিনি আমন্ত্রণ করেছিলেন, তাঁর বাড়িতেই উঠেছিলেন তিনি।  ১৯৩৯ সালের ৬ ডিসেম্বর তারিখটা আজও ভোলেননি নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরসুরীরা। গোটা একটা দিন 'নীলকণ্ঠ নিবাস'-এ কাটিয়েছিলেন নেতাজি। স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে পর রাতে খাওয়া-দাওয়াও করেন তিনি। পরের দিন সকালে রওনা হয়ে যান রামচন্দ্রপুরের উদ্দেশ্যে। 

সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ৮৮ বছর। কিন্তু 'নীলকণ্ঠ নিবাস' আগে যেমন ছিল, এখন তেমনি আছে।  সংরক্ষণ তো দুর, বাড়ির দিকে নজরই নেই প্রশাসনের। এমনকী,  ২৩ জানুয়ারি সেভাবে কোনও অনুষ্ঠানই হয় না। নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরসূরীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে ঘরোয়াভাবে নেতাজির জন্মদিন পালন করেন।  নাটক করে এলাকার কঁচিকাঁচারা, হয় দেশাত্ববোধক গানও। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুরুলিয়ার শহরের ঐতিহাসিক এই বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন সকলেই।