সংক্ষিপ্ত
- তারাপীঠ মন্দিরের মধ্যেই মদ্যপানের অভিযোগ
- মদ্যপানে অভিযুক্ত মন্দিরের এক সেবায়েতও
- দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্তের নির্দেশ মন্দির কমিটির
তারাপীঠ মন্দির চত্বরে বসল মদের আসর। সেই ছবি ভাইরাল হতেই ছড়াল বিতর্ক। চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে মন্দির কমিটি।
শুক্রবার মা তারার ভোগ হয়ে যাওয়ার পর মন্দিরের পিছনের দিকে সোলার সেটের নীচে কয়েকজন ভক্তকে মদ্যপান করতে দেখা যায়। সেখানে এক সেবায়েতকে ভক্তদের গ্লাসে গ্লাসে মদ ঢেলে দিতে দেখা গিয়েছে। এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় ছবি দেখার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই সময় যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদেরকেও তলব করা হয়। তারাময়বাবু বলেন, “আমি চারজন নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। তাঁদের বলেছি, কোন সেবায়েত বা ছড়িদার এই কাজ করেছেন, তা খুঁজে বের করতে হবে।'
তারাপীঠে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে মদ্য়পান-সহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তা বলে মন্দিরের মধ্যেই বসেই মদ্যপানের ঘটনায় চমকে উঠেছেন সবাই। ভক্ত থেকে শুরু করে মন্দিরের সেবায়েতরা, এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ সবাই।
তারাময়বাবু বলেন, 'মা তারার পুজো হয় কারণবারি দিয়ে। মা তারাকে নিবেদন করার পর আমরা ভক্তদের হাতে এক ফোঁটা করে তা ঢেলে দিই। কিন্তু কোনওভাবেই মন্দির চত্বরে মদ্যপান প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। কিন্তু যে ছবি দেখলাম, তা মেনে নেওয়া যায় না। সেবায়েত হোক বা ছড়িদার, এই ঘটনায় মন্দিরের কেউ যুক্ত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্দির চত্বরে মদ্যপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যারা এই কাজ করেছে তারা ঠিক করেনি।'
মন্দিরের প্রবীণ সেবায়েত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মন্দির চত্বরে মদ্যপান করতে কোনওদিন দেখিনি। এই কাজ কোন সেবায়েত করেননি। ছড়িদাররা করেছে। এখানে নিয়ম তৈরি হয় ভাঙার জন্যই।'
নিখিলবাবুর অভিযোগ, ছড়িদারদের পরিচয়ের জন্য আলাদা পোশাক করা হয়েছে। কিন্ত দু' দিন সেই নিয়ম মানলেও পরে সবাই লাল কাপড় পরতে শুরু করেন। ফলে সেবায়েত এবং ছড়িদারদের মধ্যে এখন ফারাক করা মুশকিল।