সংক্ষিপ্ত

অতীতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের খবর নিতে আসা কেন্দ্রীয় দল রিপোর্ট জমা দিত গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে। কারণ, ১০০ দিনের কাজ, আবাস বা সড়ক যোজনা সবগুলোই পরিচালিত করে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।

নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল তাদের কাজের সমস্ত রিপোর্ট দাখিল করে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে। তবে কেন্দ্রের অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলির নজরদারিতে এ বার পশ্চিমবঙ্গে আসা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলগুলির রিপোর্ট সরাসরি পৌঁছে যেতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর পর্যন্ত। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে এমন সম্ভাবনার কথাই।

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, সত্যিই এমন ঘটনা ঘটলে সেটি হবে ‘নজিরবিহীন’ এবং ধরে নিতে হবে, গত ১০ দিনের মধ্যে পরিস্থিতির অনেকটা বদল হয়েছে। কারণ, গত ৫ অগস্ট বকেয়াসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বন্ধ থাকা কেন্দ্রীয় অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দেশের দুর্নীতি দমনে কড়া বার্তা দিয়েছেন মোদী। এর পরেই কেন্দ্রীয় দলগুলির রিপোর্ট যদি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছয়, সেটা হবে তাৎপর্যপূর্ণ!

অতীতে প্রকল্পের খোঁজখবর নিতে আসা কেন্দ্রীয় দল রিপোর্ট জমা দিত গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকেই। কারণ, ১০০ দিনের কাজ, আবাস বা সড়ক যোজনা পরিচালিত করে  গ্রামোন্নয়ন  মন্ত্রকই। সেই মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট পাঠালে সেটি যথেষ্টই স্বাভাবিক হত। কিন্তু সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পাঠানোর নজির নেই।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী একশো দিনের কাজ, আবাস এবং সড়ক যোজনা প্রকল্প মিলিয়ে কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় বকেয়ার পরিমাণ সব চেয়ে বেশি, প্রায় ৯৩২৯ কোটি টাকা। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বকেয়া ৬৫৬১ কোটি এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ২১০৫ কোটি টাকা। বঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাপ বেড়েছে রাজ্য সরকারের ওপর। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জবকার্ডধারীদের বিভিন্ন দফতরে বিকল্প কাজের সুযোগ দিতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে।

গত ২৫ জুলাই থেকে পশ্চিমবঙ্গে মোট ১৫টি জেলায় ভাগ হয়ে একশো দিনের কাজ, আবাস এবং সড়ক যোজনার কাজকর্ম খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। জেলাকর্তারা মনে করছেন, ওই প্রকল্পগুলির পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সরাসরি পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কাছে নির্দিষ্ট বয়ান পাঠিয়েছে মন্ত্রক। সেই বয়ানেই রিপোর্ট তৈরি করার পর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্মসচিব রিপোর্টগুলি একত্র করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক হয়ে রিপোর্ট যেতে পারে ক্যাবিনেট সচিব এবং তারপর পৌঁছোতে পারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

আরও পড়ুন-
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত? সরব সলমন রুশদি সহ বহু বিশ্ববরেণ্য লেখক
ঐক্যের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করার জন্য ধর্ম বর্ণ জাতের প্রশ্ন নিয়ে আসা হয়: স্বাধীনতা দিবসে সরব বিমান বসু
যার ঘরই নেই, সে কোথায় পতাকা লাগাবে: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন বিমান বসুর