সংক্ষিপ্ত
- মালদহ হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
- খুনের ঘটনায় আটক আসিফের বন্ধু
- তাঁদের থেকে উদ্ধার প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র
- খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ
মালদহ হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। একই পরিবারের চারজনকে খুনের কাণ্ডে ধৃত আশিফ মহম্মদের গতিবিধিই রহস্য বাড়াচ্ছে। আসিফের বাড়ি থেকে কয়েকলক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কী কারণে অল্পবয়েসেই আসিফের এত বিপুল পরিমাণ টাকার প্রয়োজন ছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে খুনের ঘটনায় আটক করা হয়েছে আসিফের দুই বন্ধুকে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র।
আরও পড়ুন, ভবানীপুরে কী কারণে প্রার্থী দিতে চান না অধীর, কি বলছে CPM
পুলিশ সূত্রের খবর, মালদহ হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই আসিফ স্বীকার করে জানিয়েছে সে খুন করেছে। নজরে রয়েছে দাদা আরিফও। চলেছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁর বয়ানে মিলেছে অসঙ্গতি। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল পড়ুয়া আসিফের টাকার লোভ ছিল মারাত্মক। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার আগে কয়েকবার আচমকাই গায়েব হয়ে গিয়েছে আসিফ। অপহরণের নাটকে তাঁকে সাহায্য করে বন্ধুরাই। আসিফের বাড়ি থেকে কয়েকলক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় আটক করা হয়েছে আসিফের দুই বন্ধুকেও। সাবির আলি ও মহঃ মাফুজ । তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার ৫টি সেভেন এম এম পিস্তল, ৮০ রাউন্ড কার্তুজ ও ১০টি ম্যাগাজিন।আটক ১৬ মাইল এলাকা থেকে। প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ওই পরিবারের চার সদস্যকে তাঁরা দেখতে পাচ্ছিলেন না এলাকাবাসীরা। ওই যুবক সেই সময় বাড়িতেই ছিল। তাঁর কাছ থেকে অসংখ্যবার মা-বাবা-বোন এবং দিদা 'কেমন আছে, কী খবর'-খোঁজ নেন প্রতিবেশিরা। এদিকে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে তখন কেউ বাইরে ঘুরতেও তেমন যাচ্ছেন না। তাহলে একই পরিবারের ৪ জন্য গেল কোথায়, প্রশ্ন উঠতে থাকে এলাকায়। এরপর শুক্রবার এক আত্মীয় ওই বাড়িতে আসেন। বাড়ির সকলের খোঁজ নেন। আর এরপরে ঘটে যায় ঘটনার মোড়।
আরও পড়ুন, নাকে অক্সিজেন-পায়ে স্যালাইন, অঝোর বৃষ্টিতে রোগীকে নিয়ে রাস্তায়, চরম অবহেলা NRS-র
পরিবারের মা-বাবা-বোন-দিদার খবর নিতে গেলেই ফোঁস করে ওঠে আসিফ মোহাম্মদ। অভিযোগ, ঘটনা যাতে প্রকাশ্যে না আসে, ওই আত্মীয়কেও খুনের চেষ্টা করে যুবক। এরপরেই আর দেরি করেননি, পুলিশের কাছে খবর দেন ওই আত্মীয়। ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিশ। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছে , 'পরিবারের একমাত্র ছেলে আসিফ মোহাম্মদের বয়েস মাত্র ১৭ বছর। ও তো বাচ্চা। পড়াশোনাই করে। ওর সঙ্গে চলাফেরা কারওই ছিল না। খাওয়া-দাওয়া করত অনলাইনে অর্ডার করে। কোথা থেকে আসত ,কেউ জানে না। কাউকে বাড়ি ও ঢুকতে দিত না। আমরা দেখেছি বাড়ির চারিপাশে অসংখ্য সিসিটিভি লাগানো। চার-পাঁচটা ল্যাপটপ পাওয়া গিয়েছে বলেও জানতে পেরেছি। একা ওইটুকু ছেলে কীকরে বাড়িতে থাকছে এটা নিয়ে সন্দেহ হত। সন্দেহ করে কি করব, যাওয়ার উপায় ছিল না। গ্রামের লোকতো দেখতই।' তবে কী কারণে এত ভয়াবহ নৃশংস ঘটনা ঘটাল পরিবারের একমাত্র ছেলে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।