সংক্ষিপ্ত
- নিখোঁজ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
- মাতলা নদী থেকে উদ্ধার করল পুলিশ
- শ্বশুর বাড়িতে ডেকে খুনের অভিযোগ
- ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা
প্রায় কুড়ি দিন নিখোঁজ থাকার পর এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে ক্যানিংয়ের খেয়াঘাট এলাকা থেকে নিখোঁজ ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ব্যক্তি ক্য়ানিং থানা এলাকার বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-করোনা আবহে ঢাকে পড়েনি পুজোর কাঠি, এবার পুজোয় মাছ-সবজি বিক্রি করছেন নদিয়ার ঢাকিরা
জানাগেছে, বুধবার সকালে ক্যানিংয়ের মাতলা নদী থেকে বধূকুলা খেয়াঘাটে একটি দেহ ভাসতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। ক্যানিং থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মৃত ব্যক্তি বছর পঁয়তাল্লিশের মহিউদ্দিন শেখ ক্য়ানিং থানার নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঙ্গাশখালি গ্রামের বাসিন্দা। পুরনো বিবাদের জেরে শ্বশুর বাড়ির লোকের তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-'মৃত ঘোষণার পরেও বেঁচে ছিল রোগী', চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৭ অগাস্ট শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন মহিনউদ্দিন শেখ। সেখানে থাকা অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এরপর, পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর ৩ সেপ্টেম্বর ক্য়ানিং থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। নিখোঁজ হওয়ার কুড়ি দিন পর মাতলা নদী থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন-গঙ্গাসাগর বাজার এলাকায় বিধ্বংসী আগুন ঘিরে রহস্য, ভস্মীভূত ১০টি দোকান
এদিকে, মহিউদ্দিনের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই পলাতক ওই শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। ঘটনায় মৃতের শ্বশুর সহ চার শ্য়ালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ক্য়ানিং থানায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।