সংক্ষিপ্ত
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নির্দল প্রার্থী। স্ত্রীর হয়ে হয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন একসময়ের দাপুটে বিজেপি নেতা। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে একটাই বার্তা দিচ্ছেন,বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস সব দল ছেড়ে এবার নির্দলেই ভোট দিন।
এক সময় ছিলেন বিজেপির অন্যতম পরিচিত মুখ। পুরুলিয়ায় বিজেপি যখন শূন্যস্থানে তখন বিজেপির যে কোনও কর্মসূচির সামনের সারিতে থাকতেন অনির্বান দীপ মুখার্জী। পঞ্চায়েত লোকসভা নির্বাচনে কোমর বেঁধে বিজেপির হয়ে কাজ করলেও দল তাঁকে পাত্তা না দেওয়ায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন কংগ্রেসে। পুরুলিয়া বিধানসভার জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী পার্থ প্রতিম ব্যানার্জীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন বিজেপি ছেড়ে আসা অনির্বান দীপ মুখার্জী। যদিও পুরুলিয়া বিধানসভায় কংগ্রেস তৃণমূল বিজেপির ত্রিমুখী লড়াইয়ে জয়লাভ করে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন পরেই কংগ্রেস প্রার্থী পার্থপ্রতিম ব্যানার্জীর সাথে অনির্বান দীপ মুখার্জীও যোগ দেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে। এরপর আসে পৌরসভা নির্বাচনের পালা।
পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর অনির্বান বাবু জানতে পারেন পুরুলিয়া পৌরসভার কোন ওয়ার্ডেই প্রার্থী তালিকায় অনির্বাণ বা তার স্ত্রী কারোরই নাম নেই। এরপর একপ্রকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী অঙ্কিতা কর্মকার মুখার্জীকে পুরুলিয়া পৌরসভার ১০ নাম্বার ওয়ার্ডে জোড়া পাতা চিহ্নে নির্দল থেকে দাঁড় করান। যখন অন্যান্য দলগুলো মিটিং মিছিল করে জোরকদমে প্রচার করে চলেছে তখন অনির্বান মুখার্জী তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী অঙ্কিতা কর্মকার মুখার্জিকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করে চলেছেন।
আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের
আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অনির্বান জানান, “একসময় যাদেরকে সিনিয়র মনে করতাম যাদেরকে নিজের আদর্শ মনে করতাম তারাই আজ বলছেন অনির্বাণ তৃণমূল থেকে প্যাকিং করে বিজেপিতে যাচ্ছে।তাদেরকে আমি খোলাখুলি বুঝিয়ে দিতে চাই অনির্বান মুখার্জী নির্দল। আর নির্দল হচ্ছে জনগণ। জনগণ জানে বেশি খোঁচাতে যেওনা। জনগণ যদি জেগে ওঠে তারা চেয়ার এবং গদিতে উঠে পড়বে।আজ আমার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।কি কষ্ট করে ওকে নিয়ে প্রচার করতে হচ্ছে আমি বলে বোঝাতে পারবো না।আমাকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে মনোনয়নের সময় আমার সাথে মাত্র ২৫ জন লোক ছিল।আজ আমার সাথে অনেকেই রয়েছে।জিতলে জনগণের হয়ে জিতবো।আর হারলে আমি একাই হারবো।হয় জিতবো না হয় শিখবো।অঙ্কিতা কর্মকার মুখার্জি জানান। বিজেপি তৃণমূল সব দলের দেখা হলো। আমি এবার জনগণের জন্য নির্দল থেকে দাঁড়িয়েছি। অনেকেই বড় বড় প্রতীকে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এটা পারিবারিক ভোট এখানে সিম্বল বড় কথা নয়। সিম্বল থেকে ভোট হয় না। মানুষ চায় যারা মানুষের কাজ করবে।যাকে সবসময় পাওয়া যাবে তাকেই চায়। হার জিত নিয়ে কিছু বলতে পারবোনা।সেটা ব্যালটবক্স বলবে। আমি কাজ করে যাচ্ছি।”
আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, কবে শুরু হচ্ছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি
আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে এবারের বাজেট, দাবি মোদীর