সংক্ষিপ্ত

  • চিকিৎসায় 'গাফিলতি'তে প্রসূতির মৃত্যু
  • এবার কাঠগড়ায় বারাসত হাসপাতাল
  • পরিজনদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র হাসপাতাল চত্বর
  • পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লাঠিচার্জ
     

শুভজিৎ পুতুতুণ্ড, বারাসত:  চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই কি এমন মর্মান্তিক পরিণতি? প্রসূতির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন পরিবারের লোকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগণার বারাসত হাসপাতাল চত্বরে।

আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য পাত্রর মা সেজে ফোনে কথা বলত বাড়ির পরিচারিকা, বড়সড় প্রতারণা চক্রের হদিশ পেল পুলিশ

ঘটনাটি ঠিক কী? উত্তর ২৪ পরগণার সোদপুরের খোলা কাজিপাড়ার বাসিন্দা রত্না দাস। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি হন বুধবার। পরে যখন যন্ত্রণা আরও বাড়ে, তখন অন্য রোগীর ফোন থেকে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পাওয়ামাত্রই তড়িঘড়ি হাসপাতালে চলে আসেন স্বামী বিশ্বজিৎ। কিন্ত নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে স্ত্রীর কাছে যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তারপর? পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, দুপুরে যথারীতি রত্নাকে সিজারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। একটি ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকরা জানান, প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে, আইসিইউ-তে পাঠাতে হবে তাঁকে। সন্ধেয়বেলায় রত্নার মৃত্যুসংবাদ পান বাড়ির লোকেরা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: টালির ঘরের ভিতর দেওর বৌদির জোড়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, বসিরহাটে চাঞ্চল্য

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই মারা গিয়েছেন রত্না। অপারেশনে আগে যে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল, সেটি সহ্য করতে পারেননি তিনি। বারাসত হাসপাতালের সুপার-সহ বেশ কয়েকজন বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে এফআইআরও করা হয়েছে। দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হাসপাতালের তরফে কারও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।