সংক্ষিপ্ত

  • ২০১৯-এর শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেতে চলেছেন অধ্যাপক অমিত ভট্টাচার্য্য
  • গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান তিনি
  • বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুরস্কার তুলে দেবেন তাঁর হাতে
  • দৃষ্টিশক্তিহীনতা তাঁর চলার পথে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারেনি কখনও

২০১৯ সালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার উঠতে চলেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি বিভাগের প্রধান অমিত ভট্টাচার্য্যের হাতে। বৃহস্পতিবার এই পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই পুরস্কার তাঁর হাতে উঠে আসার কারণও রয়েছে যথেষ্ট। অধ্যাপকের ছাত্রছাত্রী থেকে তাঁর ঘনিষ্ঠরা অনেকেই জানেন তিনি যে জায়গায় রয়েছেন, সেখানে পৌঁছতে তাকে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কঠোর পরিশ্রমের ফলেই আজ তিনি অনেকের আদর্শ। 

জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করার সময় তাঁর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ক্রমশ কমতে থাকে চোখের দৃষ্টিশক্তি। স্নাতক স্তরে পার্ট টু পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাঁকে রাইটারের সাহায্য নিতে হয়, কারণ তিনি তখন দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ হারিয়েছেন। 

আরও পড়ুন- শিক্ষকের হাতেই হেনস্থা, কোচের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ জাতীয় সাঁতারুর

এই সমস্যার সবে তখন শুরু ছিল বলাই যায়। কারণ স্নাতকোত্তরে ভরতি নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যায় পড়তে হয় তাকে। শুধু তাই নয়, শিলিগুড়িতে কলেজ জীবনের প্রথমদিকে অধ্যাপনার সময় তাঁর দৃষ্টিশক্তিহীনতার জন্য কর্তৃপক্ষ অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলে জানা যায়। পরে অবশ্য কলেজ সার্ভিস কমিশনের হস্তক্ষেপে সেই সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়। 

২০০৮ সালে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ। আর তখন থেকেই নিরলস প্রচেষ্টা, পরিশ্রমে তিনি মানুষ গড়ার কাজ করে চলেছেন। অধ্যাপক অমিত ভট্টাচার্য্যের শিক্ষারত্ন সম্মান পাওয়ার খবরে তাই খুশি এবং গর্বিত তাঁর ছাত্রছাত্রীরা।