সংক্ষিপ্ত

  • গোমূত্রের পানে হিড়িক চলছে রাজ্যে
  • করোনা ভাইরাসকে ঠেকাতে নয়া দাওয়াই অধ্যাপকের
  • শোরগোল পড়ে গিয়েছে রায়গঞ্জে 
  • জমে উঠেছে বিতর্কও
     

'প্রচুর লেবু খান, আর শিব পুজো করুন।' গোমূত্র পানের হিড়িকের মাঝেই এবার করোনার থেকে বাঁচার নয়া দাওয়াই দিলেন খোদ বিজ্ঞানেরই এক অধ্যাপক। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে।

আরও পড়ুন: করোনা থেকে বাঁচতে গোমূত্র পান, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি যুবক

হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস।  শরীরের সংক্রমণ নিয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি আমলা-পুত্র। ভাইরাস থেকে হাত থেকে বাঁচতে কী করা উচিত? কোন পদ্ধতিতে সতর্কতা অবলম্বর করা জরুরি? তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। যা রটছে, তার সবটাই কিন্তু সত্যি নয়। গুজবও ছড়াচ্ছে দাবানলের মতোই। এই যেমন, করোনা থেকে বাঁচতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গোমূত্র পানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে।  মানুষকে 'সচেতন' পথে নেমেছে বিজেপি। মঙ্গলবারই রায়গঞ্জ শহরের 'গোমূত্র পান' ও 'গো পূজন' কর্মসূচি পালন করেছেন গেরুয়াশিবিরে নেতা-কর্মীরা। ঝাড়গ্রামে গোমূত্র পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক যুবক। এই যখন পরিস্থিতি, তখন করোনা থেকে বাঁচতে নয়া তত্ত্ব সামনে এল।

রায়গঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নের অধ্যাপক বিদ্যুৎ কুমার সাঁতরা। বুধবার শহরের উকিলপাড়ায় নিজের বাড়িতে করোনা নিয়ে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। বিদ্যুৎবাবুর বক্তব্য, ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গেলে মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। কিন্তু কীভাবে? রসায়নের ওই অধ্য়াপকের দাবি, শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি-র প্রয়োজন। তাই লেবু জাতীয় খাবার খেলে সহজেই করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করা যাবে।  আর মানসিক শক্তি বাড়ানোর জন্য শিবের পুজো করতে হবে! খোদ বিজ্ঞানের এক অধ্যাপকের এহেন বক্তব্য জমে উঠেছে বিতর্ক। তবে নিজের বক্তব্য থেকে একচুলও সরতে নারাজ রায়গঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক।  বস্তুত, এর আগে নাকি তিনি শিবের কাছে নিজে সঁপে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বলেও শোনা যাচ্ছে। 

আরও পড়ুন: করোনার আতঙ্কের জের, স্থগিত করা হল তারকেশ্বরের গাজন মেলা

এদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে আবার করোনা সংক্রামিত সন্দেহে এক যুবকে আটক করেছে ইটাহার থানার পুলিশ। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে রায়গঞ্জ গর্ভনমেন্ট হাসপাতালে।  জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে ভিন রাজ্যে থেকে স্থানী গোড়াহার গ্রামে ফিরেছেন সানাউল হক নামে এক যুবক। কিন্তু নিয়মমাফিক শারীরিক পরীক্ষা করতে রাজি হননি তিনি। বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি জেলার স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।