সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল দিল না টিকিট। শেষমেষ টিকিট না পেয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার। গত শুক্রবার পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করা হয় এবং তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করার পরই দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার ফলেই টিকিট পাননি বর্তমান কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার। 

তৃণমূল দিল না টিকিট। শেষমেষ টিকিট না পেয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার। গত শুক্রবার পুরভোটে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করা হয় এবং তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করার পরই দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার ফলেই টিকিট পাননি বর্তমান কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার (Ratan Malakar)। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর হওয়ার পাশাপাশি, বরো-৯-এর চেয়ারম্যানও রতন মালাকার। এবার তিনিই কিনা টিকিট পেলেন না তৃণমূলে। তারপরেই মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন বর্তমান কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার (Ratan Malakar)। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে রতন (Ratan Malakar) জানিয়েছেন, 'আমি স্বেচ্ছায় নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছি। কারও বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না'। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করার পরই সঙ্গে সঙ্গেই প্রচার নেমে পড়েন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সালটা ২০০০।  ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথমবার তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ান রতন মালাকার (Ratan Malakar)। এবং আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে  তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতার (Mamata Banerjee)  ইচ্ছাতেই তৃণমূলকর্মী রতনকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেন নেতাদের সকলেই। তারপরে ২০০৫ সালে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে সরিয়ে আনা হয় রতন মালাকারকে (Ratan Malakar)। ২০০৫, ২০১০ ও ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলর হন রতন। তবে এই বারের ভোটে প্রার্থী না হওয়ায়  ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রতন মালাকার। কারণ বরাবরই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সুনজরে থাকা রতন এখনও বুঝেই উঠতে পারছেন না কেন তাকে এবছরের প্রার্থী করা হল না। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর কেন্দ্রের অংশ। অন্যদিকে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে কলকাতার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন । ঘনিষ্ঠমহল মনে করছেন ৭০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী না হতে পেরেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । ২০১৫ সালের সচ্চিদানন্দকে হারিয়েছিলেন বিজেপি-র অসীম বসু। যিনি এবার ৭০ ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। তবে এবছর চমক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নিজের কেন্দ্রেই। 

 

আরও পড়ুন-Mamata Vs Congress: মমতার পুরোনো ষড়যন্ত্র, পিছনে আছেন মোদী - বিস্ফোরক অধীর

আরও পড়ুন-Sovan-Baisakhi: বৈশাখীর সন্তানের বাবা হলেন শোভন, অপেক্ষা এবার বিবাহ বিচ্ছেদের

আরও পড়ুন-Kolkata Airport: করোনার নয়া নির্দেশিকা কলকাতা বিমানবন্দরে, বাধ্যতামূলক হল RT-PCR টেস্ট

 

এই বছরেই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কেন্দ্রে জোড়া নির্দল প্রার্থী হওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূল মনে করছে, এরা উভয়েই নিজেদের ক্ষোভের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তদবে  দলীয় নেতৃত্ব অবশ্যই কথা বলে ক্ষোভ কমানোর চেষ্টা করবেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। তাই ওই দিনেও তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো যেতেই পারে বলে মনে করছেব তৃণমূলের একাংশ। সচ্চিদানন্দ ও রতনের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় কথাই শুনিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার। দেবাশিস জানিয়েছেন, অনেক কারণে  অনেকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান। আগামী ৪ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিন যদি তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন, তা হলে ঠিক আছে। কিন্তু যদি তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন, তা হলে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। ৪ ডিসেম্বর কী হতে চলেছে, আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তৃণমূলের সকলে। আদৌ কি সচ্চিদানন্দ ও রতন নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন নাকি মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)  কেন্দ্রে জোড়া নির্দল প্রার্থী হিসেবে থাকবেন তা নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা।